মিসর থেকে গাজা উপত্যকায় জ্বালানি সরবরাহ করা হয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর: আল জাজিরা।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত শনিবার গাজায় জ্বালানি সরবরাহ করেছে মিসর। এদিন সংঘাতপূর্ণ গাজায় এক লাখ ২৩ হাজার লিটার (৩২ হাজার ৪৯৩ গ্যালন) জ্বালানি সরবরাহ করা হয়। এদিকে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার পর গাজায় দুই দিন ধরে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে এবং টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি প্যাল্টেলের জন্য প্রায় ১৭ হাজার লিটার জ্বালানি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলের যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভা যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধের পর প্রতি দুই দিন পর পর গাজা উপত্যকায় এক লাখ ৪০ হাজার (৩৭ হাজার গ্যালন) জ্বালানি সরবরাহের অনুমতি দেয়। এরপর মিসর থেকে সেখানে জ্বালানি সরবরাহ করা হলো।
এদিকে একই দিন গাজার একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আল-ফাখূরা স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৫০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত জাতিসংঘের পরিচালিত স্কুলটিতে কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আবাসস্থল। গত ১৫ নভেম্বর আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। রোগী, চিকিৎসাকর্মী ও আশ্রয় নেওয়া মিলিয়ে ৭ হাজার লোক হাসপাতালটিতে আটকা পড়েছেন।
হাসপাতালটির আইসিইউতে থাকা সব রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় আল জাজিরা। এর পরপরই হাসপাতালটি খালি করার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। ♦