অনেকের মনে মাস্ক নিয়ে দ্বিধা কাজ করে। যেমন ঘরের বাইরে গেলেই কি মাস্ক পরতে হবে? সব সময় মাস্ক পরে থাকলে কি অক্সিজেনের অভাব হতে পারে? সব সময় দূরত্ব রেখে চললে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাবে?
এ ধরনের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর মেডিকেল নিউজ টুডে নিউজ লেটারে ২১ অক্টোবর ২০২০ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞরা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতে আমাদের অনেক বিভ্রান্তির সমাধান হতে পারে।
যেমন আমারা অনেক সময় চিন্তা করি, মাস্ক এক টানা বেশিক্ষণ পরে থাকলে তো আমাদের দেহে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে। অথচ ভেবে দেখেছেন কি, হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে ডাক্তার–নার্সদের সব সময় মাস্ক পরে থাকতে হয়। নিজ ও রোগীর নিরাপত্তার জন্য মাস্ক পরে থাকেন তারা। এতে ডাক্তার ও নার্সদের কোনো অসুবিধা হয় না। কাজেই বোঝা যাচ্ছে, মাস্ক পরে কাজ করার কারণে শরীরে অক্সিজেনের অভাব বা কার্বন ডাই–অক্সাইডের আধিক্য হয় না।
শুধু চিকিৎসাকেন্দ্র-ই নয়, অনেক পরীক্ষাগার বা শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মীদের মাস্ক পরে কাজ করতে হয়। তাদেরও কোনো সমস্যা হয় না। এটাই বিশেষজ্ঞদের অভিমত। এর একটি কারণ হতে পারে এই যে, মাস্কের মধ্য দিয়েও বাতাস আসে–যায়। কিন্তু দু–তিন পরতের কাপড়ের মাস্কে ড্রপলেট কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়। আর তা ছাড়া মাস্কের মূল কাজ হলো হাঁচি–কাশি তীব্র গতিতে বাইরে যেতে বাধা দেওয়া। ফলে ড্রপলেটগুলো বেশি দূর ছড়াতে পারে না। সামান্য ছড়ায়। তাই সবাই সব সময় মাস্ক পরলে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক কমে আসে। শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি খুব বেশি হয় না।
তবে অস্বস্তি হতে পারে। এ জন্য মাঝেমধ্যে কেউ হয়তো ভিড়ের বাইরে গিয়ে খোলা বাতাসে মাস্ক খুলে সামান্য কিছু সময় থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে যেন আশপাশে জনসমাগম না থাকে। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। ♦