বাঁধাকপি উৎপন্নের জন্য উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর বেশ সুনাম রয়েছে। তবে প্রতিবছর ভরা মৌসুমে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হয় এখানকার কৃষক। অনেক সময় চাষের খরচও তুলতে পারেন না তারা। সেই দিন বদলাতে শুরু করেছে। এ অঞ্চলের বগুড়ার বাঁধাকপি এখন রপ্তানি হচ্ছে ছয়টি দেশে।
রপ্তানিতে ভূমিকা রাখছে দেশের শীর্ষস্থানীয় কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মাসওয়া এগ্রো লিমিটেড।
প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব উদ্যোগে নানা কৃষিজাত পণ্য যেমন আলু, মিষ্টিকুমড়া, বাঁধাকপি প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানিসহ কৃষকদের ন্যায্যদাম দিচ্ছে। পাশাপাশি বীজ, সার ও কীটনাশক সরবরাহ করছে। নারীদের কর্মসংস্থান করছে। ন্যায্যদাম পাওয়ায় আবাদী চাষীরা আরো উৎসাহী হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ৪০ লাখ টন আলুর চাহিদার বিপরীতে গড়ে প্রায় ৮০ লাখ টন আলু উৎপাদিত হচ্ছে। এ শুভ লক্ষণের দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি হচ্ছে কৃষকরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত। মৌসুমে আলুর ন্যায্যদাম না পাওয়া কিংবা ন্যায্যাদমের আশায় বিকল্প হিসেবে কোল্ডস্টোরে সংরক্ষণ করতে না পেরে তার প্রায়ই তা পানির দরে বিক্রি করে দেয়। আলু রপ্তানি বাড়াতে পারলে চাষীদের এ দুর্দশা কমানো সম্ভব।
এ বিষয়ে মাসওয়া এগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আজাদ প্রিন্স বলেন, “২০১৬ সাল থেকে আমরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আলু, মিষ্টিকুমড়া ও বাঁধাকপি রপ্তানি করছি। এখন পর্যন্ত ৭০ কনটেইনার (ওজন ১৪০০ মেট্রিক টন) বাঁধাকপি রপ্তানি করেছি। গত বছর প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করেছি। এ বছর ১৫ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করতে পারব বলে আশা করছি। বগুড়া, জয়পুরহাট, নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের তৃণমূল কৃষকদের কাছ থেকে আলু, মিষ্টি কুমড়া ও বাঁধাকপি সংগ্রহ করা হয়। এরপর নিজস্ব প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত করে আমরা তা রপ্তানি করি”।
তিনি আরো জানান, পর্যাপ্ত প্রিকুলিং ব্যবস্থা না থাকা ও পণ্য পরিবহনে দীর্ঘ সময় লাগার কারণে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে রপ্তানী বহুগুণে বাড়ানো যাবে। ♦