রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন; কে হচ্ছেন যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট তা জানতে ভোট শেষ হওয়ার পর কয়েকদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। এমনকি কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ১০ কোটির বেশি আগাম ভোট পড়েছে। আগাম ভোটের কারণে এমন পরিস্থিতি। সব ভোট গণনা শেষ হতে দেরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের আলাদা সময়ে ভোটগ্রহণ শেষ ও গণনা করার নিয়মও কাজ করছে এ ক্ষেত্রে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, সাধারণত নির্বাচনের রাতে সব ভোট গণনা শেষ না হলেও কে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন, সে সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম হতে পারে। কারণ এবারের মার্কিন নির্বাচন নজিরবিহীন। আর বেশি ভোট পাওয়া মানেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া নয়। জিততে হয় ইলেকটোরাল কলেজে। জনসংখ্যার বিচারে প্রতিটি রাজ্যের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য বলে নির্বাচিত হন। কমপক্ষে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়।
২০১৬ সালে নির্বাচনের রাতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী বলে জানা গিয়েছিল। কারণ উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ভোট মিলে তার ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু এবার তা হবে না বলেই পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়ে তৈরি হতে পারে জটিলতা। এমনকি আইনি লড়াইও।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এ বছর অন্য বছরের তুলনায় অনেক ভোটার ডাক অথবা ব্যক্তিগতভাবে আগাম ভোট দিয়েছেন। ডাকে পাওয়া ভোট গণনা করতে সাধারণত বেশি সময় চলে যায়। কারণ সেগুলোর স্বাক্ষর, ঠিকানাসহ নানা যাচাই-বাছাই করতে কয়েকটি ধাপ পার করতে হয়।
তাই নির্বাচনী কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, আগাম ফলাফলে পুরো চিত্রটি নাও বেরিয়ে আসতে পারে। মহামারির কারণে এ বছর আগাম ভোট পড়েছে বেশি। ২০১৬ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবার ডাকযোগে দ্বিগুণ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভোট গণনা ও ফল প্রকাশে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে রয়েছে আলাদা প্রক্রিয়া। ♦