মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসানোর জন্য কাজ করছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক। এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য পরিচালক নিয়োগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন ডিভাইস ট্রায়ালের আগে সাধারণত ট্রায়াল ডিরেক্টর নিয়োগ করে থাকে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, নিউরালিংক মানব মস্তিষ্কে চিপ বসানোর দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে।
ডিরেক্টরের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিকে খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে সৃজনশীল একদল ডাক্তার ও উচ্চমানের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের কোনো একসময়ে নিউরালিংক মানবদেহে চিপ স্থাপন করবে।
যদিও ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর মাস্ক বলে আসছেন মানবদেহে চিপ স্থাপনের কথা। সম্ভবত চলতি বছর বাস্তবে রূপ নেবে তার স্বপ্ন।
নিউরালিংক ব্রেইন মেশিন ইন্টারফেস (বিএমআই) বা ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে। এ ধরনের প্রযুক্তিতে মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে সরাসরি কম্পিউটারের সংযোগ করে দেয়া হয়। ফলে শুধু মস্তিষ্ককে কাজে লাগিয়ে কম্পিউটার ব্যবহার করা সম্ভব।
ইতিমধ্যে শূকর ও বানরের মস্তিষ্কে ডিভাইস বাসিয়েছে নিউরালিংক। গত বছর এপ্রিলে নিউরালিংক পেইজা নামের এক বানরের ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে দেখা যায়, কোনো ধরনের স্পর্শ ছাড়াই মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে পেইজা কম্পিউটারে পিংপং গেম খেলছে।
প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, ডিভাইসটি স্থাপন ও অপসারণ সম্পূর্ণ নিরাপদ।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ডিভাইসটি ভবিষ্যতে মানুষের মস্তিষ্কসংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধান করবে। স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলা, ব্রেন ড্যামেজ, হতাশা, উদ্বেগ ও আসক্তির মতো সমস্যার সমাধান ছাড়াও বিভিন্ন নিউরোসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
এ ছাড়া প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ব্যক্তি স্পর্শ ছাড়া মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের মতো ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন। পাশাপাশি নতুন কোনো ভাষা শেখার ক্ষেত্রে কিংবা কোনো দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে নিউরালিংক ডিভাইস মুহূর্তে তা মস্তিষ্কে আপলোড করে দেবে। এমনকি ব্রেইনকে কপি করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদী মাস্ক। ♦