বৈধ কাগজপত্র ছাড়া মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে এক বাংলাদেশিকে ৪৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।
মোহাম্মদ মিলন হোসেন নামের এ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মানব পাচারে ষড়যন্ত্র ও সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধ বিভাগের আদালতে উপস্থাপিত নথির বরাত দিয়ে বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গত মঙ্গলবার সংযোজিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দণ্ডের কথা বলা হয়েছে।
দেশটির অপরাধ বিভাগের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কেনেথ এ পোলিট জুনিয়র বলেন, ‘মানব পাচারকারীরা বিশ্বব্যাপী এমন অপতৎপরতা চালিয়ে বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জীবনকে ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশি মোহাম্মদ মিলন হোসেনের মতো মানব পাচারকারীদের আটক করে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পাশাপাশি এ ধরনের অপরাধী চক্র গুড়িয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশ ও দেশের সীমানার বাইরে অংশীজনদের নিয়ে তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।’
৪১ বছর বয়সী মিলন হোসেন মেক্সিকোর তাপাচুলায় বসবাস করতেন।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বাংলাদেশিদের মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছে দিতেন তিনি।
মিলন হোসেন তাপাচুলায় একটি হোটেল পরিচালনা করতেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রাখা হতো। তারপর অভিবাসীদের মেক্সিকোর মন্টেরেতে নিয়ে যেতে প্লেনের টিকিটসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান দিতেন।
মন্টেরে থেকে মিলন হোসেনের দোসর মোক্তার হোসেন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকানোর ব্যবস্থা করতেন।
দণ্ডটি মিলন হোসেনের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস (এইচএসআই) ও তার বিশ্বব্যাপী সহযোগী সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন এইচএসআইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা শেন ফোল্ডেন।
তিনি বলেন, মিলন হোসেন বাংলাদেশি নাগরিকদের পাচারের হোতা। তার এমন কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।
এইচএসআই বিশ্বব্যাপী এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঘটনাটি যৌথভাবে অনুসন্ধান করেছে এইচএসআই লারেডো, এইচএসআই হিউম্যান স্মাগলিং ইউনিট, এইচএসআই মেক্সিকো ইউনিট, এইসএসআই মন্টেরে, ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন, বর্ডার পেট্রল ও ইউএস মার্শাল সার্ভিস। ♦