চন্দ্রবিজয়ী মাইকেল কলিন্স প্রয়াত হয়েছেন বুধবার (২৮ এপ্রিল)। মানব সমাজের এক অম্লান অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার নাম। তাকে নিয়ে লিখেছেন কবি ও সংগীত শিল্পী কফিল আহমেদ।
চাঁদে বাতাস পানি থাকলে, এ নিয়ে এতদিনে একটা মহাপরমাণু যুদ্ধ ঘটে যেত হয়তো দুনিয়ায়।
তবে পৃথিবীতে প্রাণ বা জীবনের জন্মের অনেক কারণের একটা বড় কারণ এই চাঁদ, তা নিশ্চিত। চারদিক ঘুরেফিরে চাঁদ আজও তাঁর প্রেমটুকু দিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীকে। কেবল নাসার নভোচারীরাই নয়, চাঁদের অভিযাত্রী আমরা সবাই। বোধগম্যতার রকমফের থাকতে পারে বটে। তবে চাঁদের কণার সঙ্গে সম্পর্ক পাতালের পানিরও। মহাজাগতিক রশ্মির অদূরে কোনো গভীর অন্ধকারও নাই মহাবিশ্বের কোথাও।
পৃথিবীর বুকের দিকটায়, নদী কিংবা নারীপ্রকৃতির জোয়ারভাটায় চাঁদের ভাব কণায় কণায় হাড়েমজ্জায় একটু অধিক বোঝা যায়। তবে গ্রহতারারা যতই টানুক ডাকুক, ফিরে ফিরে প্রাণান্ত পৃথিবীতেই থাকতে চায় আমাদের এই জীবের শরীর বারবার প্রতিবার। আর নাসার নভোচারী, পাইলট কলিন্সের জীবনের সবচাইতে আতংকের মুহুর্তটা ছিল বোধকরি সেই সময়টাই, যখন পৃথিবীর সঙ্গে বাহন অ্যাপোলো’র যোগাযোগ কিছুক্ষণের জন্য নাই হয়ে গিয়েছিলো। সেই আতংকের পর সবচাইতে বড় আনন্দের মুহূর্তটাও ছিল বোধকরি সেই তখনই – যখন পরক্ষনেই আবারো ওরা যোগাযোগ ফিরে পেয়েছিলো প্রিয় পৃথিবীর সঙ্গে। পৃথিবীর সঙ্গে জীবনের সম্বন্ধটা এমনই। যেন ‘আধতিল না দেখিলে যায় যে মরিয়া!’
আজ মরণে মাইকেল কলিন্স পৃথিবী থেকে কতটা দূরে, চাঁদের থেকে কতটা অদূরে, সেই বিমূর্ততাই হয়তো বা মৃত্যুর অপার অভিজ্ঞান। ♦