মহাকাশ যাত্রার আগে যা করেন নভোচারীরা

0

সব ঠিক থাকলে আজ স্পেসএক্স ও নাসা ডেমো-২ টেস্ট ফ্লাইট মিশন পরিচালনা করবে। স্পেসএক্সের তৈরি ক্রু ড্রাগনে করে মহাকাশে স্থাপিত ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সেন্টারের উদ্দেশে যাত্রা করবেন নাসার দুই নভোচারী।

বুধবার ফ্লোরিডায় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হওয়ায় মিশন শুরুর ১৭ মিনিট আগে তা স্থগিত করা হয়। অপ্রত্যাশিতভাবে যাত্রা বাতিল হওয়ার আগে নাসার নভোচারী ডাউ হার্লে ও বব বেনকেন মহাকাশে যাওয়ার সব রকম প্রস্তুতিই নিয়েছিলেন। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কী কী করেছেন তার কিছু খণ্ড চিত্র তুলে ধরা হলো।

প্রাতরাশ
মহাকাশ যাত্রার দিন সকাল বেলা করে নির্দিষ্টভাবে দুটি খাবার নভোচারীদের প্লেটে ওঠে। খাবার দুটি হলো বিফ স্টেক ও ডিম পোচ। বলা যায়, এটা নাসার ঐতিহ্য।

ভার্চুয়াল কনসার্ট
মহামারি না চললে হয়তো ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে কনসার্টের আয়োজন করা হতো। নেচে গেয়ে বিদায় জানানো হতো নভোচারীদের। সে সুযোগ না থাকায় গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়ী কেলি ক্লার্কসন লাইভ ভিডিওতে ভার্চুয়ালি গান গেয়ে শোনান।

টেসলা গাড়িতে নাসার লোগো
প্রাতরাশ শেষে স্পেস স্যুট পড়ে দুই নভোচারী পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নেন। এরপর টেসলা মডেল এক্স গাড়িতে করে কেনেডি স্পেস সেন্টারে পৌঁছান। যাত্রা পথে তারা এসি/ডিসি ব্যান্ড ও দ্য ব্লু ব্রাদার্স সিনেমার গান শোনেন। গাড়িটি টেসলার হলেও তাতে ছিলো নাসার লোগো। লাইসেন্স প্লেটে লেখা ছিলো আইএসএসবিএনডি (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন বাউন্ড)।

নাম স্বাক্ষর
লঞ্চ প্যাডে গিয়ে রকেটে ওঠার আগে তারা হোয়াইট রুমের দেয়ালে নিজেদের নাম লেখেন। মহাকাশ যানে ওঠার আগে নাসার নভোচারীরা যে রুমে অবস্থান করেন সেটাই হোয়াইট রুম নামে পরিচিত। নাম সই করাটা নভোচারীদের প্রথা নয়, এটা ডাউ হার্লে ও বব বেনকেনই প্রথম শুরু করলেন।

পুতুল ডাইনোসর
ডেমো-২ মিশনে চাইলে আরও দুইজন নভোচারীকে পাঠাতে পারতো স্পেসএক্স ও নাসা। কিন্তু পরীক্ষামূলক ফ্লাইট হওয়ায় দুটি সিট খালি রাখতে হচ্ছে। তবে দুই নভোচারীর সঙ্গী হিসেবে মহাকাশে একটি ডাইনোসরের পুতুলও পাঠানো হচ্ছে। না, মজার ছলে এ পুতুল রকেটের সিটে বসানো হয়নি। মহাকাশে যাওয়ার পর শূন্য মাধ্যাকর্ষণের প্রভাব পরিমাপের সুবিধার্থেই পুতুল সঙ্গে নেওয়া হয়।

Share.