যশোরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারত ফেরত যাত্রীদের মধ্যে দুইজনের দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
এ অবস্থায় ওই দুই রোগীকে আলাদা করে চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি ভারত থেকে ফেরার পথে তাদের সংস্পর্শে আসা সব ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ওই দুই রোগী বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব রোধে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর গত ২৬ এপ্রিল থেকে আটকে পড়া বাংলাদেশী যাত্রীরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরছেন। ৪ মে পর্যন্ত বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে এক হাজার ৫৭৭ জন দেশে ফিরেছেন। তাদের বেনাপোলসহ যশোর জেলা ও পার্শ্ববর্তী চার জেলার হোটেলসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
তাদের মধ্যে ১৬জন করোনা পজেটিভ যাত্রীর নমুনা সংগ্রহ করে যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষায় পাঠানো হয়। এতে তিনজনের নমুনা পজেটিভ এসেছে। এ তিনজনের মধ্যে দুইজনের শরীরের করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে বলে নিশ্চিত করেছেন জোনাম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ।
তিনি বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের নম্বর হলো বি ১.৬ ১৭.২। তবে এটি ডাবল মিউট্যান্ট নয়। ভারতের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। যুক্তরাজ্যে এটি ছিল ৫৯ শতাংশ। তারপরও এ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে সতর্ক হতে হবে।
আমরা আশা করছি, যারা ভারত থেকে ফিরছেন তাদের পরীক্ষার পাশাপাশি পৃথক পরিবহন ব্যবস্থায় কোয়ারেন্টাইনে নিতে হবে ও নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে।
যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালে থাকা ওই দুই রোগীকে আলাদা করে চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি ভারত থেকে ফেরার পথে তাদের সংস্পর্শে আসা সব ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আমরা যে দুইজনের নমুনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে তাদের নমুনার হোল জিনোম সিকোয়েন্স করার উদ্যোগ নিয়েছি। বিষয়টি আইইডিসিআরকে অবহিত করা হয়েছে।
উপাচার্য আরও জানিয়েছেন, করোনার ভারতীয় ধরণ শনাক্ত হওয়ার ফলে জরুরি সহায়তা দেয়ার জন্য বিম্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টার ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. দিলিপ কুমার রায় বলেন, যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের পিসিআর ল্যাব ও আইইডিসিআরে নমুনা পাঠানো হয়েছিল। আমরা এখনও কোনো তথ্য পাইনি। তথ্য পেলে আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম প্রটোকল মেনে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। ♦
