বিশ্ব ডেস্ক: ২৭ দিনের মাথায় আগামীকাল থেকে ভারত কিছুটা শিথিল হচ্ছে লকডাউন। অবরুদ্ধ দেশে প্রধানত গ্রামীণ অর্থনীতিতে কিছুটা প্রাণ ফেরাতে অনেক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে। শুরু হতে চলেছে ১০০ দিনের কাজ, ফসল কেটে বাজারজাত করা, রাস্তা, সেতু, সেচ ও গৃহনির্মাণ প্রকল্প, গ্রামীণ শিল্প ও ই-কমার্স। তবে যেসব পণ্য অত্যাবশ্যক নয়, সেগুলো ই-কমার্স সংস্থা বিলি করতে পারবে না।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের যেসব জেলায় করোনার প্রকোপ এখনো অব্যাহত, সেখানে এ শিথিলতা প্রযোজ্য হবে না। যেমন দিল্লি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজ জানিয়েছেন, রাজধানী-রাজ্যের মোট ১১ জেলাই ‘হট স্পট’। সব জেলা মিলিয়ে রেড জোনের সংখ্যা ৭৭টি। কদিন ধরে সংক্রমণ বাড়ছে। কাজেই এখনই দিল্লির কোনো এলাকায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এক সপ্তাহ পর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।
দিল্লিতে করোনা-আতঙ্ক বেশ আশঙ্কাজনক। সংক্রমণের সংখ্যা ২ হাজার ছুঁতে চলেছে। মারা গেছে ৪২ জন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ না কমলে হাসপাতালে বিছানা পাওয়া যাবে না। অভাব দেখা দেবে ভেন্টিলেটরের। কাজেই তিনি কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নন।
কাল থেকে শিথিল হওয়া জেলাগুলোয় কৃষি ও শিল্পশ্রমিকেরা এক অঞ্চল থেকে অন্যত্র যাতায়াত করতে পারবেন। সে জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিবহনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু কোনোভাবেই পরিযায়ী শ্রমিকেরা নিজেদের ঘরে ফিরতে পারবেন না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার সব রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়ে বলেছে, পরিযায়ী শ্রমিকেরা যে যেখানে শিবিরে রয়েছেন, তাঁদের সেখানেই রাখা হবে। কাউকে নিজ রাজ্যে ফেরত পাঠানো যাবে না। এ কথাও বলা হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকেরা যে যে কাজে পারদর্শী, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে তা জানাতে হবে। সেই কুশলতা নথিভুক্ত করা হবে যাতে লকডাউন পর্ব শেষে হলে তাঁদের কাজে লাগানো যায়।