ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা ও মানসম্মত কনটেন্ট নিশ্চিতে কাজ করছে লাইকি

0

স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি ও শেয়ার করার জনপ্রিয় অ্যাপ লাইকি সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের জন্য সুস্থ বিনোদনের পরিবেশ তৈরিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে নতুন ক্যাম্পেইন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপত্তিকর কনটেন্ট মুছে ফেলা ও বিতর্কিত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া।

ব্যবহারকারীদের লাইকি কমিউনিটি নীতিমালা সম্পর্কে জানাতে কনটেন্ট নির্মাতা ও সেলিব্রেটিদের কাছে ভিডিও তৈরির এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে লাইকি যে ইতিবাচক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিচ্ছে সে সম্পর্কে অবহিত করতে লাইকি সম্প্রতি ‘#ভালোরজন্যজানো’ শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে।

এ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে অনেক জনপ্রিয় সেলিব্রেটি ও ইনফ্লুয়েন্সাররা নিরাপদ ও সুস্থ ধারার অনলাইন কমিউনিটি গড়ে তোলার জন্য কনটেন্ট পোস্ট করার নিয়ম ও সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ওপর ভিডিও তৈরি করেন।

তাদের মধ্যে ছিলেন মডেল ও অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি, অভিনেত্রী তানহা তাসনিয়া, টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক এবং জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি কনসালটেন্ট রিজভী আরেফিন।

টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যম বা সমাজে প্রচলিত যোগাযোগের যে কোনও মাধ্যমের প্রভাব কেমন তা নির্ভর করে ব্যবহারকারীরা এটি কীভাবে ব্যবহার করছেন সেটার ওপর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজের জন্য ইতিবাচক প্রভাব রাখার ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে এবং মানুষকে জানাতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরি। আমি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং সময়োচিত এই ক্যাম্পেইনের অংশ হতে পেরে আনন্দিত। লাইকি কেবল বিনোদনের জন্য নয়, মানুষ চাইলে এ প্ল্যাটফর্ম শিক্ষার উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এতে অনেক শিক্ষা বিষয়ক কনটেন্ট ও কনটেন্ট নির্মাতা রয়েছেন।’

ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়ার ব্যপারে টয়া বলেন, “আমি অনেকদিন ধরেই লাইকিতে সক্রিয়। ফলোয়ারদেরকে আনন্দিত করবে এমন মজাদার, আনন্দদায়ক ও বিনোদনমূলক অনেক দিক আমি এই প্ল্যাটফর্মে খুঁজে পেয়েছি। আমরা মানুষদেরকে উপভোগ্য এবং দায়িত্বশীল উপায়ে লাইকিসহ অন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করার ব্যাপারে সচেতন করার লক্ষ্যে কাজ করছি।’

গত কয়েক মাস ধরে লাইকি আপত্তিকর কনটেন্ট ফিল্টার করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি এর ব্যবহারকারীদেরও সৃজনশীল ভিডিও তৈরি করতে উৎসাহিত করেছে যাতে মাধ্যমে অন্যরা তাদের মেধা বিকাশে অনুপ্রেরণা পায়।

ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে লাইকি তাদের রাজস্ব উদ্ভাবন ও প্ল্যাটফর্ম থেকে আপত্তিকর ও অবৈধ কনটেন্ট মুছে ফেলতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে পুন:বিনিয়োগ করে আসছে।

যথাযথ নিয়ম মেনে রিপোর্ট করা কনটেন্টগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি নির্দিষ্ট টিম নিরলস কাজ করছে। আপত্তিকর কনটেন্ট মুছে ফেলতে লাইকি কঠোর নীতিমালা মেনে চলে।

এ কারণে লাইকি যখনই অশ্লীল, বর্ণবাদ, ধর্মান্ধতা, ফ্যাসিজম, কাউকে বুলি করে বা ঘৃণামূলক বক্তৃতা উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট খুঁজে পায়, তখনই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়।

এমনকি ব্যবহারকারীরাও feedback@likee.video– এ অনাকাঙ্ক্ষিত ভিডিওতে রিপোর্ট করে প্ল্যাটফর্মের পরিবেশ সুস্থ রাখতে সহায়তা করতে পারেন।

এছাড়া লাইকিতে জালিয়াতির তথ্য, অশ্লীল লিঙ্ক, জুয়া ও অন্য সময়ে নেতিবাচক ক্রিয়াকলাপ রিয়েল-টাইমে তদারকি করার জন্য একটি কমপ্লিট সিকিউরিটি মেকানিজম রয়েছে।

বাংলাদেশে লাইকির হেড অব অপারেশনস জয় বলেন, “প্রথমেই আমরা প্রত্যেককে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে চাই, যা তাদের সুপ্ত প্রতিভা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের বিকাশে সহায়তা করবে। আমাদের নীতি এবং নৈতিকতার মানদণ্ড থেকে বিচ্যুত হয় এমন কোনো কিছুই লাইকিতে উৎসাহিত করা হয় না। এ বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে মোট ৪২,৭৫১ টি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং প্রতি মাসে প্রায় ৮৭ লাখ ভিডিও বিভিন্ন ধরণের পেনাল্টির সম্মুখীন হয়। সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নীতি লঙ্ঘন হয় এমন যেকোনো ক্ষেত্রে লাইকি সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে কাজ করার মানসিকতা পোষণ করে।’

উল্লেখ্য নিরাপদ ভার্চুয়াল বিনোদন জগৎ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রাখতে লাইকি সব ধরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সব আপত্তিকর কনটেন্ট ও অনলাইনে নিরাপদ সহাবস্থানের জন্য হুমকি হতে পারে এমন যেকোনো বিষয় প্রতিরোধে লাইকি জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে।

লাইকি
সিঙ্গাপুরভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি ও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম লাইকি। প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালের জুলাইয়ে লাইকি প্ল্যাটফর্ম উন্মোচন করা হয়।

বর্তমানে লাইকি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ ও বিশ্বজুড়ে এর ১০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। সবাই যাতে সৃষ্টিশীল ও অংশগ্রহণমূলক ভিডিও তৈরির মাধ্যমে মুহূর্তগুলো স্মরণীয় করে রাখতে পারে তার সুযোগ করে দেয়া এর লক্ষ্য। এছাড়া লাইকির নানা ফিচার সহজে ব্যবহারকারীদের একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত করে।

আইওএস-এ আইস্টোর ও অ্যান্ড্রয়েডের প্লেস্টোর থেকে লাইকি ডাউনলোড করা যাবে।

Share.