বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১১ হাজার ৭৬৯ জনকে নির্বাচিত করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএ। এর মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৪ হাজার ৭৫২ জন ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে যোগদান না করা পদে দ্বিতীয় ধাপে ৭ হাজার ১৭ জন প্রার্থী নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন।
সুপারিশপ্রাপ্তদের ৭ হাজার ৭০৪ জন পুরুষ ও ৪ হাজার ৬৫ জন নারী, যারা পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাবেন। সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের সামনে নতুন শিক্ষক নিয়োগের ফল তুলে ধরেন।
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে যেসব পদে কেউ আবেদন করেনি—এমন ১২ হাজার ৮০৭টি এমপিও এবং ২ হাজার ৩৫৬টি নন-এমপিও পদে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত ৬ ফেব্রুয়ারি। ৮ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে মোট ১৫ হাজার ১৬৩ পদের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৭ জন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, মেধা ও চাহিদা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে এসব পদে মোট ৮ হাজার ৩৫৯ জনের আবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এমপিও পদে ৪ হাজার ১৮৫ জন ও নন-এমপিও পদে ৫৬৭ জন অর্থাৎ মোট ৪ হাজার ৭৫২ জন সুপারিশ পেয়েছেন। নির্বাচিতদের ২ হাজার ৫০৪ জন স্কুল-কলেজে এবং ২ হাজার ২৪৮ জন মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাবেন।
এছাড়া তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশের পরও নিয়োগ হয়নি—এমন ৭ হাজার ১৭টি পদের মধ্যে পরবর্তী মেধা তালিকা থেকে ৬ হাজার ২০৫টি এমপিও এবং ৮১২টি নন-এমপিও পদে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের এই সুপারিশে ৪ হাজার ৫৩৯ জন স্কুল-কলেজে এবং ২ হাজার ৪৭৮ জন মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাবেন।
এরপর দুপুরে নির্বাচিতদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ, এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানানো হচ্ছে। এনটিআরসিএ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সুপারিশপ্রাপ্তদের ৩০ জুন বিকাল ৫টার মধ্যে চার কপি প্রাক চাকরি জীবনবৃত্তান্ত ফরম পূরণ করে সরাসরি বা ডাকযোগে এনটিআরসিএতে পাঠাতে হবে। ♦