চলতি বছর জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে ডিসেম্বরের শেষে প্রকাশ হবে এইচএসসির ফল। এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। তবে কবে নাগাদ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তা নিশ্চিত নয়। জানা গেছে, মার্চের আগে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এইচএসসির ফল ঘোষণা হবে। তবে মার্চের মাঝামাঝি কিংবা শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হতে পারে। এরপর শুরু হবে ক্লাশ। তবে সবই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। কেন মার্চে?
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেডিকেল কলেজ ও সব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা এখনো প্রথম বর্ষেই রেয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করার পরে কোনো ক্লাস নেয়া যায়নি। আবার অন্য বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষাও আটকে আছে। এ নিয়ে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনও করেছেন। এ অবস্থায় আটকে থাকা পরীক্ষা না নিয়ে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়।
তাছাড়া মহামারির কারণে জানুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা নেই। ফলে ফেব্রুয়ারির শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে মার্চের আগে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে ২৫ নভেম্বর এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শীত সবচেয়ে বেশি থাকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। মনে হয় না এ সময়ের মধ্যে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারব। শীত কিছুটা কমলে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি চিন্তা করছি।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। কত মার্কের পরীক্ষা হবে, কীভাবে মূল্যায়ন হবে, সেটা আমরা আগেই জানিয়েছি। পরীক্ষা মার্চে হতে পারে। কীভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা পরিকল্পনা সাজাচ্ছি।’
বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) সূত্রে জানা গেছে, মার্চের শুরুতেও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। মার্চের একেবারে শেষ বা এপ্রিলের শুরুতে এই পরীক্ষা হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বাংলাদেশে ২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পর্যায়ে মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯। এরা সবাই এবার উত্তীর্ণ হবে। তাদের শতকরা ৭০ ভাগ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেও পরীক্ষার্থী হবে ৯ লাখ ৫৬ হাজার। এর সঙ্গে গত বছরের প্রায় ৭ লাখ পরীক্ষার্থী যোগ হয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬ লাখের বেশি।