বিদায় অ্যাঙ্গেলা মেরকেল! মসনদে মধ্য-বামপন্থি এসপিডি

0

জার্মানির নির্বাচনে মধ্য-বামপন্থি সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির কাছে (এসপিডি) হেরেছে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ)। অল্প ব্যবধানে হেরেছে সিডিইউ। এতে ১৬ বছরের ক্ষমতা হারানোর বড় শঙ্কায় পড়েছে তারা।

নির্বাচনে মোট ভোটের ২৬ শতাংশ পেয়েছে এসপিডি। সিডিইউ পেয়েছে ২৪.৫ শতাংশ।

উভয় দল মনে করছে, জার্মানির পরবর্তী সরকারের নেতৃত্বে তারাই থাকবেন।

নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দল পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ না হলে জোট সরকারে যেতে হবে। জটিল এ জোটে কারা এগিয়ে থাকবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

নতুন জোট সরকারে থাকতে পারে পরিবেশবাদী দল গ্রিন পার্টি ও লিবারেল ফ্রি ডেমোক্র্যাটসের মতো ছোট (এফডিপি) দলও।

ভোট শেষে নির্বাচনের অন্যান্য প্রার্থীর সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে এসপিডির চ্যান্সেলর প্রার্থী ৬৩ বছর বয়সী ওলাফ শুলজ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সব জরিপে আমরাই এগিয়ে।’

তার মতে ‘এটি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক বার্তা। জার্মানিতে কার্যকর ও প্রায়োগিক সরকার নিশ্চিতে আমাদের উদ্দেশে জনগণের পরিষ্কার মেন্ডেট এ ফল।’

২০১৭ সালের জাতীয় নির্বাচনে ২০.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল এসপিডি।

সব ঠিকঠাক থাকলে উইলি ব্র্যান্ড, হেলমুত শ্মিদ ও গেরহার্ড শ্রোয়েডার পর এসপিডির চতুর্থ নেতা শুলজ জার্মানির চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন।

মজার বিষয়, মেরকেলের মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী শুলজ জার্মানির হামবুর্গ শহরের মেয়রও ছিলেন।

এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। জোট সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে হবে বিদায়ী চ্যান্সেলরকে।

তাই বড়দিনের আগে জার্মানিতে নতুন সরকার গঠন হচ্ছে না, এটা প্রায় নিশ্চিত।

নির্বাচনে পরাজয় মানতে রক্ষণশীল শিবির এখন পর্যন্ত প্রস্তুত নয় বলে জানিয়েছেন শুলজের প্রতিদ্বন্দ্বি আরমিন ল্যাশেট। অবশ্য নির্বাচনের প্রাথমিক ফল দেখে তার সমর্থকরা আর কোনো উচ্চবাচ্য করছেন না।

গোলটেবিল বৈঠকে ল্যাশেট বলেন, ‘ভোটে এগিয়ে থাকা দল থেকেই চ্যান্সেলর নিয়োগ হয়েছে, তা সবসময় হয়নি। সব দলের অংশগ্রহণ রয়েছে আমি এমন একটি সরকার দেখতে চাই। যেখানে সব দলের নেতাকে জনগণ দেখবে। শুধু চ্যান্সেলরকেই মানুষ চিনবে না।’

Share.