ভারত থেকে রফতানিমুখী পোশাক খাতের কাঁচামাল দ্রুত পেতে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।
বিজিএমইএর সভাপতি বুধবার ভারতীয় হাইকমিশনারের সহযোগিতা চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেন।
বিজিএমইএর সভাপতি চিঠিতে উল্লেখ করেন, করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের কারণে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা লিড টাইম (ক্রয়াদেশ প্রাপ্তি থেকে পণ্য জাহাজীকরণ পর্যন্ত সময়) মেনে পোশাক রফতানির চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছেন।
বিদেশি ক্রেতারা লিড টাইম সংক্ষিপ্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে পণ্য চাচ্ছেন। তবে সরবরাহকারী দেশ থেকে স্বল্প সময়ে কাঁচামাল পাওয়ার ওপরই সেটি অনেকাংশে নির্ভর করছে।
ফারুক হাসান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা তাদের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের একটি উলেখযোগ্য অংশ ভারতে আমদানি করছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত থেকে কাঁচামাল আনতে সময় বেশি লাগছে।’
তিনি লিখেছেন, ‘বেনাপোল স্থল বন্ধর থেকে আমাদের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টদের কাছে শুনতে পাচ্ছি, নিরাপত্তাসংক্রান্ত ইস্যু ও প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে ভারতের বনগাঁ কাস্টমস পয়েন্টে আমদানি করা কাঁচামাল ছাড় করতে বেশি সময় লাগছে। সে কারণে পোশাকশিল্পের কাঁচামালবাহী প্রচুর পরিমাণ ট্রাক আটকে আছে। তাতে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা ক্ষতির মুখে পড়ছেন।’
হাইকমিশনারকে ভারতীয় অংশের কাস্টমসে পোশাকশিল্পের কাঁচামাল দ্রুত ছাড় করানোর জন্য ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, আমদানি-রফতানি মসৃণ করা গেলে উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়বে। ♦