বিএম এনার্জি লিমিটেডের সঙ্গে যমুনা অয়েলের চুক্তি

0

নিজস্ব ফিলিং স্টেশনের মাধ্যমে এলপি গ্যাস বিক্রি করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। এজন্য বিএম এনার্জি (বিডি) লিমিটেডের (ব্র্যান্ডের নাম বিএম এলপি গ্যাস) সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে কোম্পানিটি।

বিনিয়োগকারীদের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে বিএম এনার্জির (বিডি) সঙ্গে চুক্তি করেছে যমুনা অয়েল। নিজস্ব এলপিজি রিফুয়েলিং স্টেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এলপিজি ও পেট্রোলিয়াম অয়েল বিক্রি করবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি লিটার এলপি গ্যাস বিক্রির বিপরীতে ৫০ পয়সা করে রয়্যালটি বা কমিশন পাবে যমুনা অয়েল।

৩০ জুন ২০২০ হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে যমুনা অয়েল। আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ টাকা ১৩ পয়সা। আলোচিত বছরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৬১ টাকা ৪০ পয়সা। আর এ বছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২০ টাকা ৩৮ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৭৭৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ টাকা ১৯ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ১৬৭ টাকা ৬১ পয়সা, যা তার আগের বছরের একই সময় ছিল যথাক্রমে ২৫ টাকা ৪৫ পয়সা এবং ১৭০ টাকা ৩৪ পয়সা।

ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানিটির ১১ কোটি চার লাখ ২৪ হাজার ৬০০ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৬০ দশমিক শূন্য আট শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২৮ দশমিক ১৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

Share.