বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) গতকাল ব্যাংককর্মী বাছাইকরণ নিয়ে ‘এমপ্লয়ী সিলেকশন ইন ব্যাংকস অব বাংলাদেশ: এ মিক্সড মেথড অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বিআইবিএমের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ জামাল।
স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ও পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং কন্সালটেন্সি) ড. আশরাফ আল মামুন।
সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম। পাঁচ সদস্যের গবেষণা দলে অন্যাদের মধ্যে ছিলেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ও পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন ও কন্সালটেন্সি) ড. আশরাফ আল মামুন, প্রভাষক আনিলা আলী, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক শাকিল এজাজ।
গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোভিড-১৯ মহামারিতে এমপ্লয়ী সিলেকশন প্রক্রিয়া ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হয়। এ কারণে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো নতুন নিয়োগ আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে।
২০১৯ সালে যেখানে নতুন নিয়োগের প্রবৃদ্ধি ছিল পাঁচ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ২০২০ সালে ছিল এক দশমিক ৩৩ শতাংশ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবতাদুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
সেমিনার উদ্বোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ জামাল বলেন, কর্মী নিয়োগে সিলেকশন প্রক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে সিলেকশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা না হলে সঠিক প্রার্থীকে বাছাই করা সম্ভব হয় না। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো একজন চাকরিপ্রার্থী প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য না অযোগ্য তা নির্ধারণ করে।
সমাপনী বক্তব্যে বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, যেসব সুপারিশ ও মন্তব্য আসছে—তা গবেষণা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোর সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে। ♦