বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন ল্যাব ও তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের যৌথ উদ্যোগে সহজে বহনযোগ্য ভেন্টিলেটর প্রটোটাইপ তৈরি করা হয়েছে। স্বল্প মূল্যে প্রস্তুত এ ভেন্টিলেটরটি গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় অসামান্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার (জনসংযোগ) সোহেল আহসান (নিপু ) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ভেন্টিলেটরটি নির্মাণে নির্বাহী তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে ছিলেন ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন ল্যাবের প্রধান প্রকৌশলী কাজী তাইফ সাদাত। তিনি বলেন, এ ভেন্টিলেটরটিতে মেকানিক্যাল পাম্পের বদলে ইলেক্ট্রনিক পাম্প ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মেশিনটির রক্ষণাবেক্ষণ অনেক সহজ ও যান্ত্রিক ঘর্ষণজনিত ক্ষয় কম। মেশিনটি দ্বারা সুষম বায়ু প্রবাহের জন্য দুটি ডায়াফ্রাম পাম্প ব্যবহার করা হয়েছে, যা থাইরিষ্টর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
সম্পূর্ণ কার্যপ্রণালীটি মাইক্রো কন্ট্রোলারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ মেশিনটিতে রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী পাম্পের গতি, শ্বাস গ্রহণ ও শ্বাস ত্যাগের সময় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফলে মেশিনটি শিশু ও বয়স্ক উভয় রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী।
ভবিষ্যতে মেশিনটির সঙ্গে হার্টরেট পর্যবেক্ষণ যন্ত্র সংযোজন করা হবে যাতে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রকৃতি নির্ণয় করা যায়। এছাড়া বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করে দেশীয় প্রযুক্তির এ স্বল্প মূল্যের যন্ত্রটি কভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসা কাজে ব্যবহার করা সম্ভব।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন ল্যাব ও তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগ ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। ♦