বাংলাদেশসহ ১৫ দেশকে মহামারি কভিড-১৯ প্রতিরোধে এক কোটি ১০ লাখ টিকা দেবে জাপান। এ তথ্য জানিয়েছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোতেগি তোশিমিৎসু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গাভি পরিচালিত কোভ্যাক্স কর্মসূচির মাধ্যমে এসব টিকা সরবরাহ করা হবে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার এসব ভ্যাকসিন জাপানে উৎপাদন করা হয়েছে।
জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পূর্ব তিমুর, লাওস, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ফিজি, কিরিবাতি, পাপুয়া নিউ গিনি, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা, ভেনুয়াতু ও ইরানে এসব ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ামাত্র এসব দেশে টিকা পৌঁছে দেয়া হবে। তবে আগামীকাল ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানকে বাড়তি ১০ লাখ ডোজ করে দেয়া হবে। এর আগেও তাইওয়ান ও আসিয়ানভুক্ত পাঁচ দেশকে জাপান ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে বলে জানান তিনি।
মোতেগি তোশিমিৎসু জানান, বিদেশে বসবাসরত যেসব জাপানি নাগরিক অস্থায়ীভাবে দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন সরকার তাদের জন্যও একটি টিকাদান কর্মসূচি চালু করবে। এ কর্মসূচি আগামী ১ আগস্ট থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারির প্রথম দিক পর্যন্ত চলবে।
অনলাইন রিজার্ভেশন আগামী সোমবার থেকে শুরু হবে।
যে কোভ্যাক্স কর্মসূচির মাধ্যমে ১৫ দেশে টিকা সরবরাহ করবে জাপান সেটি মূলত একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। বিশ্বের সব দেশের মধ্যে কভিড-১৯ টিকার সমবন্টন নিশ্চিত করতে গঠন করা হয় এই কর্মসূচি।
কোভ্যাক্সের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো কভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি। এ উদ্যোগের লক্ষ্য ভ্যাকসিন মজুত করে না রেখে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশগুলোয় তা বণ্টন করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে উৎসাহিত করা। ♦