প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় সবার হাতে রয়েছে স্মার্টফোন। আর সে ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ও লিংকডইন ব্যবহার করেন অনেকে। একটু সচেতন হলে আমরা এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিরাপদ থাকতে পারি। এ জন্য কয়েকটি উপায় দেখে নিতে পারেন।
কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করাই উত্তম। সংখ্যা, বর্ণ, বিশেষ চিহ্ন (@#$*) ইত্যাদি মিলিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। ভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন
অনলাইনে বিভিন্ন ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার জন্য দুই স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা বা টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করতে পারেন। এতে কোনভাবেই হ্যাক হবে না আপনার সোশ্যাল মিডিয়া। ফিচারটি চালু থাকলে নতুন কোনও ডিভাইস থেকে লগ ইন করার সময় পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি অ্যাকাউন্টে যুক্ত মোবাইল ফোন নম্বরে আসা ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) পাঠানো হয়। সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের জন্য এ পদ্ধতি মেনে চলতে পারলে হ্যাকারের হানা থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে।
যাচাই করার পর বন্ধুত্ব
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। কারণ কে কোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা বোঝার উপায় নেই। এ ছাড়া হ্যাকারদের চরও ফাঁদ পেতে বসে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সুতরাং অপরিচিত কারও সঙ্গে বন্ধু পাতানোর আগে যাচাই করে নিতে হবে।
সন্দেহজনক লিংক এড়িয়ে চলুন
ধরুন, ঘনিষ্ঠ কোনও বন্ধুর কাছ থেকে ইমেইল বা মেসেঞ্জারে কোনও বার্তা পেলেন বা কোনও লিংক পেলেন, যা হয়তো তার স্বাভাবিক আচরণের সঙ্গে মেলে না, সবচেয়ে ভালো হবে সেসব লিংকে ক্লিক না করা বা সাড়া না দেওয়া।
আবেগের বশে অতিরিক্ত শেয়ার বন্ধ করুন
আবেগি হয়ে অতিরিক্ত পোস্ট শেয়ার করা যাবে না ফেসবুক বা অন্য কোনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যাচাই করে তবেই তা শেয়ার করবেন।
রিকভারি ইমেল
অ্যাকাউন্ট রিকভারি অপশনে মোবাইল ফোন নম্বরের পরিবর্তে ইমেইল আইডি ব্যবহার করা উচিত। এতে কোনও কারণে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে ইমেইল মারফত তার নোটিফিকেশন আসবে। এমনকি চাইলে দ্রুততম সময়ে তা ঠেকানোর সুযোগও পাওয়া যাবে। ♦