বর্তমানে দ্রুত বেড়ে চলেছে স্যোশাল প্ল্যাটফর্মভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনা। ফেসবুক এর মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় স্যোশাল প্ল্যাটফর্ম, যার কল্যানে অনেক নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছেন।
ক্রেতারাও অতীতের তুলনায় অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারছেন ঘরে বসে।
এরই ধারাবাহিকতায় উদ্যোক্তাদের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে ২৫ জানুয়ারি বিকাল ৪টার দিকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা করে এন্ট্রেপ্রেনিয়র অ্যান্ড ই-কমার্স-ইপি (Entrepreneur and E-commerce Platform-EP)।
ইপি এমন একটা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কথা নয় বাস্তবে সবাইকে নিয়ে কাজ করে। এর যেমন রয়েছে সুগঠিত সাংঘঠনিক কার্যক্রম, তেমন আন্তরিকতা ও সক্রিয় সদস্যও।
গত পাঁচ মাসে ২৩ হাজার সদস্য অর্গানিকভাবে বলে দেয় গ্রুপ কতটা প্রানবন্ত । ১০০ পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে যাত্রা হয় ইপির, যা একে একে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে পরিকল্পনার প্রথম ধাপে তৈরি করা হয়েছে উদ্যোক্তা ডেটাবেজ। উদ্যোক্তাদের ডেটাবেজ বায়ারদের কাছে চলে যাবে। তাছাড়া তাদের লিস্ট পিন পোস্টে থাকবে। তাতে অন্য সবাই বিশেষ করে ক্রেতার বিশ্বাস করতে পারবেন লিস্ট থেকে কেনার জন্য।
দীর্ঘমেয়াদি ও সময়ের চাহিদা অনুযায়ী নিজস্ব ই-কমার্স ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে। এটা হবে আরেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। উদ্যোক্তাদের কার্যক্রম ছড়িয়ে যাবে দেশের বাইরেও।
সহজে ও স্বাচ্ছ্যন্দে সবাই ঘরে বসে কেনাকাটা করতে পারবেন।
দেশীয়, অনন্য ও গুগণগতমানে সেরা পণ্য জায়গা পাবে ইপিতে, যেখানে কোয়ালিটি নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না।
অফলাইনে শোরুম নিয়ে কাজ চলছে। এটি আরেকটি অনন্য কার্যক্রম- ঢাকা ও এর বাইরেও হবে শোরুমগুলো।
ইপিকে সাজানো হচ্ছে একটা মডেল হিসেবে যেখানে শুধু উদ্যোক্তারা-ই নন সমানভাবে যেন লাভবান হন ক্রেতারাও। ইপির জন্মই সবাইকে একসঙ্গে সাফল্যের পথে এগিয়ে নেয়া। এ লক্ষ্যেই সব উদ্যোক্তাকে নিয়ে ওয়ান টু ওয়ান পরিচর্যা করা হচ্ছে।
ইপি নামের ফেসবুক গ্রুপ অনলাইন মেলার আয়োজন করেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী এবং পুরুষ উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন এ গ্রুপের মাধ্যমে।
ইপি গ্রুপের অ্যাডমিন মালিহা শান্তা বলেন, এ মেলার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তারা বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে তাদের পণ্য বিক্রির সুযোগ পাবেন।
তিনি আগ্রহী উদ্যোক্তাদের ইপি অনলাইন ঈদ মেলায় বিক্রেতা হিসেবে অংশ নেয়ার আহবান করেন।
মেলায় রয়েছে নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পোশাক, গয়না, খাদ্যসামগ্রীসহ নানা পণ্য।
ইপি গ্রুপের ক্রিয়েটর এডমিন রনি রহমান বলেন, খাঁটি পণ্য পৌঁছানোর প্রত্যয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ইপি’ নামের প্ল্যাটফর্ম। সামনে অনেক পরিকল্পনা আছে সবাইকে নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, একবারে গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের তুলে নিয়ে আসতে হবে। তাদের পণ্য খাঁটি কিন্তু অনেকে কিছু কারণে তাদের মেধা বিকশিত করতে পাচ্ছেন না। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করবো, তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে চাই। ♦