টলিউডের এক চিত্রনাট্যকার ফেসবুকে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে মোবাইল ফোন রেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কলকাতা পুলিশের সাইবার টিম সে পোস্ট দেখতে পায়। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে টলিউডের সেই চিত্রনাট্যকারের আত্মহত্যার চেষ্টা রুখে দেয় পুলিশ। অবশ্য তিনি ততক্ষণে বিষ খেয়েছিলেন। তবে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই চিত্রনাট্যকার প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ২টা নাগাদ কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনারের (অপরাধ) অফিস থেকে খবর যায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ শহরতলি বিভাগের ডেপুটি কমিশনারের অফিসে। তাদেরকে জানানো হয় যে, ৩৩ বছরের এক ব্যক্তি রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকা থেকে ফেসবুকে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে পোস্ট করেছেন। পুলিশ দ্রুত মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট প্রোটোকল ও মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে ওই ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছায়। কিন্তু সেখানে পৌঁছে পুলিশ জানতে পারে, ওই যুবক বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। যুবকের বাবা-মা ও ভাই বোনেদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলে সব ঘটনা জানায়।
পুলিশ তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কাছাকাছি বড়ুয়া পাড়ায় একটি ভাড়া ফ্ল্যাটের খোঁজ জানতে পারে। আরও জানতে পারে ওই যুবক মাঝে মাঝেই ওই ফ্ল্যাটে থাকেন।
পুলিশ সে সূত্র ধরে ওই ফ্ল্যাটে হাজির হয়ে দেখে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করার পর কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায়, পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। ভেতরে গিয়ে দেখেন ওই যুবক সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। তার পাশে একটা খালি কীটনাশকের বোতল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পাকস্থলি থেকে বিষ বের করা হয়। প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেরিতে পৌঁছলে প্রাণের আশঙ্কা ছিল তাঁর।
ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ জানতে পেরেছে, বান্ধবীর সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই ওই যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ফেসবুকে আত্মহ্ত্যার কথা পোস্ট করার আগে বান্ধবীর সঙ্গে ফোনে ঝগড়া হয় তাঁর। এর পরে অবসাদের জেরে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এর আগেও কলকাতা পুলিশের সাহায্যে গুয়াহাটির উপকণ্ঠে এক মহিলার আত্মহত্যা রোখা সম্ভব হয়েছিল। ♦