পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। বাড়তে দেখা যাচ্ছে সব ধরনের শেয়ার ও ইউনিটদর। আর এ দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে ব্যাংক খাত।
নানা সময়ে ভিন্ন খাতের আধিপত্য দেখা গেলেও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে ব্যাংক খাত। প্রতিদিনই বিনিয়োগকারীরা তাদের পোর্টফোলিতে এ খাতের শেয়ার যুক্ত করছেন।
জানা গেছে, শেয়ারদর কম থাকায় এ খাতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ বাড়ছে।
বাজার চিত্রে দেখা গেছে, ব্যাংক খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কম। অন্যান্য খাতের চেয়ে এ খাতের কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থা সন্তোষজনক। লভ্যাংশ দেয়ার হার ভালো।
পাশাপাশি ব্যাংক খাতের শেয়ারের গড় মূল্য আয় অনুপাত সবচেয়ে কম। অর্থাৎ নিয়ম অনুয়ায়ি এখানে বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত।
বর্তমানে ব্যাংক খাতের শেয়ারের গড় মূল্য আয় অনুপাত অবস্থান করছে সাত দশমিক ৫৩ তে।
মূলত কম দর থাকার কারণে এসব শেয়ারে ঝুঁকে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। ভবিষ্যতে এসব শেয়ারদর আরও বাড়বে এমন ভেবে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী এখানে দীর্ঘ মেয়াদে কিনিয়োগ করছেন।
তবে ২০১০ সালের ধসে ব্যাংক শেয়ারধারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তখন ব্যাংক শেয়ারের তাদের লোকসান ছিল ৫০ থেকে ৮০ শতাংশের বেশি। এখন বাজার ভালো হওয়ার কারণে তারা ক্ষতি কাটিয়ে উঠছেন। পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীল থাকবে এমন প্রত্যাশা তাদের।
২০১০ সালের পর তালিকাভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর তলানিতে চলে আসে। পরবর্তী সময়ে হল মার্ক ও বেসিক ব্যাংকসহ নানা অনিয়মের কারণে এ খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। দীর্ঘদিন পর সে পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছে ব্যাংক খাত। ♦