প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে গ্রামীণফোনের

0

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকমিউনিকেশন খাতের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৭৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬ টাকা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ২৩ পয়সা।

এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকায়, যা ২০২২ সালের ৩১ মার্চে ছিল ৪২ টাকা ৯৪ পয়সা।

এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯৭ পয়সায়, যা আগের বছর একই সময় ১২ টাকা ৫২ পয়সা ছিল।

কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাবছরের জন্য ৯৫ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। অর্থাৎ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর হিসাববছরের জন্য সর্বমোট ২২০ শতাংশ দিচ্ছে গ্রামীণফোন।

আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ২২ পয়সায়।

এছাড়া আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৭ টাকা ২৬ পয়সা।

ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) গত ২ মে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বমোট ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৫ টাকা ২৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৯৪ পয়সায়।

এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪২ টাকা ৮২ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। চার হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৮৪৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১৩৫ কোটি তিন লাখ ২২টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ২ দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির দুই হাজার ৭১টি শেয়ার মোট ৩৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এদিকে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারদর ২৭৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩২৩ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। 

Share.