রাজধানীর পূর্বাচলে ১৫ দশমিক ৮৬ কাঠা জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পর্ষদ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় সম্প্রসারণে জমিটি কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিবন্ধন ও অন্যান্য খরচ ছাড়া জমিটি কিনতে ব্যয় হবে ২৪ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেবে ব্যাংকটি।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯২ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ৬ পয়সা কমেছে।
অন্যদিকে চলতি ২০২৩ হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩ টাকা ২৩ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ৮ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬০ পয়সায়।
প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯২ পয়সায়, যা আগের বছর একই সময় ১২ টাকা ৮২ পয়সা ছিল।
৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১২ শতাংশ নগদ এবং ৩ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৩২ পয়সায়। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬২ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ২৭ পয়সায়।
এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক
‘এ’ ক্যাটাগরির ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের ৪৫ দশমিক ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৯ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ♦