পুঁজিবাজারে লেনদেন ১টা পর্যন্ত

0

লমান শাটডাউনে আগামীকাল থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া পুঁজিবাজারে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

দেশে চলমান কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সরকার ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে, যা শাটডাউন হিসেবে পরিচিতি পায়।

সে সময় ব্যাংকের লেনদেন ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারের জন্য লেনদেন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় সকাল ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত।

পরবর্তী সময়ে শাটডাউনের সময় বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত নির্ধারণ করে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক এ সময় ব্যাংকিং কার্যক্রম আড়াইটা পর্যন্ত র্নিধারণ করায় বিএসইসি পুঁজিবাজারের লেনদেন চালু রাখে বেলা ২টা পর্যন্ত।

কোরবানি ঈদের কারণে সরকার ২২ জুলাই পর্যন্ত শাটডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করলে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সময় ১৫, ১৮ ও ১৯ জুলাইয়ের জন্য ব্যাংকিং কার্যক্রমের সময় পরিবর্তন করে বিকাল ৪টা নির্ধারণ করে। ফলে পুঁজিবাজারেও পরিবর্তন হয় লেনদেনের সময়সূচি। ওই তিন দিনের জন্য লেনদেনের সময় নির্ধারণ করা হয় আড়াইটা পর্যন্ত।

মন্ত্রিপরিষদ থেকে শাটডাউন শিথিলের প্রজ্ঞাপনেইজানিয়ে দেয়া হয়, ২৩ জুলাই থেকে আবার দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর শাটডাউনে যাচ্ছে দেশ, যা শেষ হবে ৫ আগস্ট।

বাংলাদেশ ব্যাংকও সে অনুযায়ী ব্যাংকিং কার্যক্রমের নতুন নির্দেশনা জারি করে। বলা হয়, ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন চলবে বেলা দেড়টা পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারের জন্য লেনদেনের সময় নির্ধারণ করা হয় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা। ২৩ ও ২৪ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটির থাকায় এ দুদিন লেনদেন কার্যক্রমের বাইরে রাখা হয়।

গত ১৪ জুলাই বিএসইসির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

লেনদেনের সময় জানানোর পাশাপাশি বলা হয়, এ সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মোট জনবলের ২৫ শতাংশ নিয়ে কার্যক্রম চালানো এবং বিনিয়োগকারীদের মোবাইল বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লেনদেন পরিচালনায় উৎসাহিত করতে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

লকডাউন বা শাটডাউন যা-ই হোক না কেন, ব্যাংকিং কার্যক্রম চললে পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে- এমন সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে রেখেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

পুঁজিবাজারের লেনদেনের সঙ্গে ব্যাংকের লেনদেনের সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে বিএসইসির বর্তমান কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, ব্যাংক চালু থাকলে বাজারে লেনদেন চলবে।

তবে ২০২০ সালের মার্চে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর আগের কমিশন পুঁজিবাজারে লেনদেনও বন্ধ রাখে। আর সেই ছুটি গিয়ে ঠেকে ৬৬ দিনে।

করোনা পরিস্থিতিতে সরকার গত ৫ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করলেও পুঁজিবাজারের লেনদেন চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত এভাবেই চলে লেনদেন।

পরে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে আবারও ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করলে তখন ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারের লেনদেন সময়সীমা বাড়ানো হয় আধা ঘণ্টা; দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত করা হয় লেনদেন।

৬ এপ্রিল থেকে সে সময়সীমা বাড়িয়ে বেলা দেড়টা পর্যন্ত করা হয়। শেষে গত ৩০ মে থেকে আবার পুরো সময় সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন হয় পুঁজিবাজারে।

লকডাউন ও শাটডাউনে পুঁজিবাজারে উত্থান দেখা গেছে।

Share.