ডিএসইর ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন

0

দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাড়ছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর ও বাজার মূলধন। একই সঙ্গে প্রতিনিয়ত বাড়ছে লেনদেনও। এর জের ধরে আজ পুঁজিবাজারের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ ২ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আজকের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ২৪৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

আজ লেনদেন শেষে ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১২.৭৬ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৭৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৫২.১১ পয়েন্টে ও দুই হাজার ৩৯২.৬২ পয়েন্টে।

এই দুই সূচক অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চে অবস্থান করছে।

২০১০ সালে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ধসে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। অস্বাভাবিক সূচক পতনের পাশাপাশি একযোগে কমতে থাকে তালিকাভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটদর।

এরপর ১০ বছর কেটে গেলেও পুঁজিবাজারে তেমন স্থিতিশীলতা দেখা যায়নি। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও বারবার ব্যর্থ হয়েছে পুঁজিবাজার। তবে সম্প্রতি এ ধারায় পরিবর্তন হয়েছে। এটা স্থায়ী হবে, এমনটি ভাবছেন বাজার সংশ্লিষ্ট থেকে শুরু করে বিনিয়োগকারীসহ সবাই।

এদিকে কভিড-১৯ ভীতি কাটিয়ে আবার পুঁজিবাজারে ফিরতে শুরু করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তবে বেশিরভাগ লেনদেন হচ্ছে অনলাইনে।

মূলত নতুন কমিশন ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে পুঁজিবাজার পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। বিনিয়োগকারীরা বলেন, সার্বিক বিবেচনা করে মনে হচ্ছে, পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার দিকে এগোচ্ছে। বাজারের এমন পরিস্থিতি থাকলে সামনে আরও অনেক বিনিয়োগকারী নতুন বিনিয়োগ নিয়ে আসবেন।

২০১০ সালে পুঁজিবাজার পরিস্থিতি যখন ভালো ছিল, তখন ডিএসইর দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার কোটি টাকা। সে সময় ঢাকার প্রতিটি হাউসে গড়ে ৩০ কোটি টাকা লেনদেন হতো।

পরবর্তীকালে বাজার মন্দা যাওয়ায় তা অনেক নিচে নেমে যায়। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে ব্রোকারেজ ব্যবসায়। এখন পুঁজিবাজার পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় ব্যবসাও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

Share.