পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে গঠিত বিশেষ তহবিল নীতিমালায় সংশোধন এনেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে তিন মাসের পরিবর্তে এক মাস পরপর বিনিয়োগ তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। এ তথ্য পাঠাতে হবে প্রতি মাসের পাঁচ তারিখের মধ্যে।
চলতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি দেয়া বিজ্ঞপ্তির সংশোধন এনে সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন থেকে মাস শেষ হলেই পরবর্তী ৫ তারিখের মধ্যে এসএফসিএম ছক অনুসারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব ও বিও (বেনিফিসিয়ারি ওনার্স) হিসাবগুলোর তথ্য বিবরণী ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগে দাখিল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঋণদানকারী ব্যাংক গ্রাহক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবে এবং তা সমন্বিত আকারে এসএফসিএম ছকে সংযোজন করে বিবরণীর সফট কপি দাখিল করবে।
এসএফসিএম ছকের সফট কপি অফসাইট সুপারভিশন বিভাগ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির অন্যান্য শর্ত ও নির্দেশনাগুলো অপরিবর্তিত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিশেষ এ তহবিলের জন্য গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৫ ব্যাংক মিলে ৩ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে। এর পুরোটা এখনও বিনিয়োগ করা হয়নি। এর মধ্যে শেয়ার কেনা হয়েছে ১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকার।
বিনিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে এখনও ১ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যাংকগুলোয় যে পরিমাণ তহবিল গঠন হয়েছে, তার ৪৭ শতাংশ বিনিয়োগে এসেছে।
এর আগে ধারাবাহিকভাবে অবনতি হতে থাকা দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নতুন বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পৃথকভাবে বিশেষ তহবিল গঠন করার বিষয়ে একটি নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যে কোনো তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকা আকারের তহবিল গঠন করতে পারবে। চাইলে সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে রেপোর মাধ্যমে ঋণ নিতে পারবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।
১০ ফেব্রুয়ারি এ সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলারে বলা হয়, পুঁজিবাজার পরিস্থিতির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারল্য সহায়তা দেয়াই এ তহবিল গঠনের উদ্দেশ্য।
পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে এর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন কমিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সম্মতি পেয়ে এমন তহবিল গঠনের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বর্তমানে দেশে তফসিলি ব্যাংক ৫৯টি। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে আরও ৩৪টি। এই ৯৩টি প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে প্রতিটি ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করলে মোট ১৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকার তহবিল হবে।
তবে পুঁজিবাজারে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ নেই। ♦