বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধিগুলোর মধ্যে পাকস্থলীর ক্যানসার অন্যতম। পৃথিবীতে যেসব ক্যানসার সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে তার মধ্যে চতুর্থ স্থানে পাকস্থলীর ক্যানসার। বাংলাদেশেও এটি অনেক মৃত্যুর জন্য দায়ী রোগগুলোর তালিকায় রয়েছে।
বংশগত কারণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার প্রবণতা ও ধূমপানের কারণে পাকস্থলীর ক্যানসার হতে পারে।
এই পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে টমেটো উপকারী। নিরামিষ-আমিষসহ প্রায় সব রকমের খাবারে টমেটো কমবেশি সবাই খেয়ে থাকেন। শুধু রান্নায় নয়, লাল রঙের কাঁচা টমেটো সালাদ করেও খেয়ে থাকেন অনেকে।
চিকিৎসকরাও বেশি করে টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ টমেটো শরীরের জন্য উপকারী সবজি।
টমেটো হৃদযন্ত্রের সমস্যা সমাধানে, রক্ত পরিষ্কার রাখতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
এগুলোর পাশাপাশি চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন, পাকস্থলীর ক্যানসার উপশমেও টমেটো বেশ কার্যকর। টমেটোর রস পাকস্থলীতে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ও ছড়িয়ে পড়া রুখে দিতে সক্ষম বলে জানান গবেষকরা।
টমেটোয় থাকা লাইকোপেনে অ্যান্টিটিউমরাল গুণ রয়েছে।
ইতালির সিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, টমেটোর রস চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে।
পুষ্টিতে ভরপুর টমেটো। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে, ফলেট এবং পটাসিয়াম। টমেটো থেকে আরও পাওয়া যায় থায়ামিন, নায়াসিন, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং কপার। এ ছাড়া এই এক কাপের টমেটোর মধ্যেই থাকে দুই গ্রামের মতো ফাইবার। অনেকটা পানিও রয়েছে এর মধ্যে।
এটি খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি বা দুটি টমেটো খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে। ♦
