২০২০ সালের শেষের দিকে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স কৃত্রিম উপগ্রহ নির্ভর ইন্টারনেট সেবার পাবলিক বেটা টেস্টিং শুরু করে। এর আগে তাদের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংকের পাবলিক বেটা পরীক্ষার জন্য গ্রাহকদের কাছে ই-মেইল পাঠায়।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা স্টারলিংকের সেবা পাচ্ছে। জানা গেছে, বর্তমানে দশ হাজারের বেশি মানুষ ব্যবহার করছেন স্টারলিংকের ইন্টারনেট।
মূলত এক এফসিসি আবেদনে স্টারলিংকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা সম্পর্কে জানিয়েছে স্পেসএক্স। নিজেদের যোগ্য টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় স্টারলিংক।
স্টারলিংককে লাখো ডলার অনুদান দিয়েছে ‘রুরাল ডিজিটাল অপরচুনিটি ফান্ড’। ওই অনুদান ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের আরো কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে নিজেদের সেবা নিয়ে আসতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এর আগে নিজেদের যোগ্য টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সেজন্যই মূলত এফসিসি বরাবর আবেদন করেছে তারা।
চিঠিতে লিখেছে, কক্ষপথে স্পেসএক্সের এক হাজারের বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে, ও তাদের নেটওয়ার্ক প্রতি সেকেণ্ডে ১০০/২০ মেগাবিটসের বেশি গতিতে সংযুক্ত করতে পারবে ব্যবহারকারীদের।
স্পেসএক্স অ্যাপল ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর জন্য বেটা ব্যবহারকারীদের সেবা দেওয়া ও পরিচালনা করতে একটি স্টারলিংক মোবাইল অ্যাপও তৈরি করেছে।
স্টারলিংক ওয়েবসাইটে সেবা নিতে আগ্রহী যারা ই-মেইলে নিবন্ধনে তালিকাভুক্ত হয়েছে তারা ইতিমধ্যে “বেটার থান নথিং বেটা” নামে স্পেসএক্সের বেটা পরীক্ষায় যোগ দিয়েছে।
সেবা নিতে ব্যবহারকারীদের স্টারলিংক গ্রাউন্ড সরঞ্জামগুলো ৪৯৯ ডলারে দিয়ে কিনতে হবে। আর সেবা নেওয়ার জন্য মাসে ৯৯ ডলার ফি দিতে হবে।
২০১৯ এর মে থেকে হাজারো ছোট ব্রডব্যান্ড-বিমিং উপগ্রহের সমন্বয়ে একটি মেগাকন্টেললেশন তৈরির লক্ষ্যে ৬০ ধাপে স্টারলিংক ইন্টারনেট উপগ্রহ চালু করে স্পেসএক্স। মহাকাশ থেকে নেটওয়ার্কটি বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিরা। ♦