করোনাকালে ক্রিকেটে নতুন পাঁচ নিয়ম প্রবর্তন করেছে আইসিসি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বলে লালার ব্যবহার করা যাবে না। এজন্য বলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে কষ্ট হচ্ছে বোলারদের। এতে করে পুরনো বলে রিভার্স সুইং করতে বেশ পাচ্ছেন তারা।
এ সমস্যা সমাধানে অভিনব উপায় বের করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে বিশেষ ধরনের ট্রাউজার পরে খেলবে টাইগাররা। সাধারণ কাপড়ের চেয়ে ভিন্ন এ পরিধেয়টি, যা থাইল্যান্ড থেকে আনা কাপড় দিয়ে বানানো হয়েছে। এ ধরণের কাপড়ের তৈরি ট্রাউজারে ঘষে বলের উজ্জ্বলতা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখা যায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে এ বিশেষ ট্রাউজার ব্যবহারের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল। তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। টাইগারদের জন্য মূল ম্যাচের পরিবর্তে অনুশীলনের জন্য এ ট্রাউজার সরবরাহ করেছিল জাতীয় দলের জার্সি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্পোর্টস অ্যান্ড স্পোর্টস। অনুশীলনে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়। এজন্য এবার নিউজিল্যান্ড সফরে মূল ম্যাচের জন্য এ বিশেষ ট্রাউজার তৈরি করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী মেহতাবউদ্দিন সেন্টু।
তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুশীলনের জন্য আমরা এ বিশেষ ট্রাউজার তৈরি করেছিলাম। খেলোয়াড়রা সবাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তাই নিউজিল্যান্ডে আমরা মূল ম্যাচের জন্য এ ট্রাউজার দিয়েছি।’
আপাতত নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য হলেও, ভবিষ্যতে অন্যান্য সিরিজে এ ট্রাউজার সরবহার করা হবে কি না তা এখনও নিশ্চিত করা যায় নি। তাই সেন্টু আসন্ন সিরিজে খেলোয়াড়দের ফিডব্যাকের জন্য অপেক্ষা করছেন।
সেন্টু তাই বলেন, ‘এই নিউজিল্যান্ড সফরের পর খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ফিডব্যাকের অপেক্ষা করব আমরা। ভালো হলো কি না, বা কেমন হলে ভালো হতো- এমন ফিডব্যাক পেলে বুঝতে পারব যে আমরা যেমনটা আশা করেছিলাম তেমন হয়েছে কি না।’
বলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার বিষয়টা মূলত টেস্ট ক্রিকেটে জরুরি। নিউজিল্যান্ড সফরে সাদা পোশাকের সিরিজ না থাকলেও, এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেলার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। সে সফরে এ বিশেষ ট্রাউজার ব্যবহার করা হবে কি না, তা বোঝা যাবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর। ♦