নানা আয়োজনে পালিত হলো বিশ্ব দৃষ্টি দিবস

0

দৃষ্টি সম্পর্কে সচেতনতার জন্য প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার পালিত হয় বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। চলতি বছর ১৪ অক্টোবর বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালিত হয়েছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে এ দিবসটি। অন্ধত্ব নিবারণ ও দৃষ্টি রক্ষার উদ্দেশ্যে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় – ‘তোমার চোখকে ভালোবাসো’।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে সারা দেশে অন্ধত্ব ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের ন্যাশনাল আই কেয়ার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (আইএনজিও) ফোরাম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২ দশমিক ২ বিলিয়নের বেশি মানুষ চোখের সমস্যায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ মানুষ দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতায় ভুগছেন।

তবে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় অন্যান্য দেশের তুলনায় আক্রান্তদের হার চারগুণ বেশি।

পৃথিবীর প্রায় সব মানুষ তাদের জীবদ্দশায় চোখের স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাছাড়া পুরো বিশ্বের প্রায় এক বিলিয়নের বেশি মানুষ তাদের চোখের যত্ন পান না বললে চলে। অথচ এ দৃষ্টিশক্তির অর্ধেকের বেশি প্রতিরোধযোগ্য বা চিকিৎসাযোগ্য হলেও চোখের যত্নে মানসম্মত চিকিৎসার অভাবে অনেক লোক তাদের প্রয়োজনীয় যত্ন পান না।

এত বড় একটি অংশ দৃষ্টি সমস্যায় থাকায় উৎপাদনশীলতায় প্রতি বছর পুরো বিশ্বের প্রায় ৪১০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হচ্ছে।

চলতি বছর ২৩ জুলাই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গৃহীত ‘সবার জন্য ভিশন’ এ বিষয়টি উল্লেখ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ত্বরান্বিত কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরোধযোগ্য দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের সঙ্গে বসবাসকারী ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মানুষের চোখের স্বাস্থ্যের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতির প্রস্তাব ওঠে, যা জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশ সমর্থন করে।

এটি স্পষ্ট করে দেয়, বর্তমান বিশ্বে চোখের স্বাস্থ্য একটি অগ্রাধিকার উন্নয়ন ও মানবাধিকার বিষয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়া সমাবেশ, আলোচনা সভা ও নানা ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করেছে ন্যাশনাল আই কেয়ার।

একই সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩০টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার, ৬৪টি জেলা হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতাল (মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) ন্যাশনাল আই কেয়ারের নির্দেশনায় বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে এ দিনটি উদযাপন করা হয়েছে।

দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “বিশ্ব দৃষ্টি দিবস বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ এই দিনটি আমাদের দৃষ্টি এবং চোখের স্বাস্থ্যের গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় চোখের স্বাস্থ্য সুবিধা থেকে চোখের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।

Share.