নবাব এলএলবি, ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত চলচ্চিত্র। এই প্রথম শাকিব খানের কোনো চলচ্চিত্র অনলাইনে মুক্তি পাচ্ছে। মুক্তি পাবে আই থিয়েটারে।
বিজয় দিবসের রাত ৮টা থেকে সিনেমাটি দেখতে পারবেন অ্যাপটির সাবস্ক্রাইবাররা। অ্যাপটিতে থাকছে টিকিট কাটার সুবিধাও।
কয়েকদিন আগে প্রকাশিত হয়েছে সিনেমাটির ট্রেইলার, যা প্রশংসা কুড়িয়েছে সব শ্রেণির দর্শকের।
এ প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘ট্রেইলার দেখে সবার ভালো লেগেছে জেনে আমি খুবই অনন্দিত। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভালো রিভিউ আসছে। এমনকি ভারত, শ্রীলংকা, মিডল ইস্ট, ইউএস, আফ্রিকা থেকে এই ট্রেলার দেখেছেন দর্শকরা। সবাই ভালো বলেছে।’
নবাব এলএলবি সিনেমার প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন একটি বিষয় খুব ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। আর সেটা হলো ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন। দিনে দিনে এটা যেন বেড়েই যাচ্ছে। তারই প্রতিবাদ হলো এই সিনেমা। নবাব এলএলবি সিনেমার মাধ্যমে আমিও এই প্রতিবাদে অংশ নিলাম।’
ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সবাইকে সোচ্চার হবার আহ্বান জানান শাকিব খান। তিনি বলেন, ‘নবাব এলএলবি সিনেমা কিছুটা হলেও বিবেককে নাড়িয়ে দেবে। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষকে জাগ্রত করার চেষ্টা করবে এই সিনেমা।’
সামাজিক কারণে, পরিবারের সম্মানের কথা চিন্তা করে অনেক নারী ধর্ষণ বা নির্যাতনের কথা বলতে চান না। কিন্তু অনেকে এ বিষয়ে সোচ্চার থাকেন। তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে শাকিব বলেন, ‘নারী যেন তার যথাযথ সম্মান পান। নবাব এলএলবি সিনেমার মাধ্যমেও সেই কথাই বলতে চেয়েছি। করোনার মধ্যে চেষ্টা করেছি দর্শকদের ভালো গল্পের একটি সিনেমা উপহার দেবার।’
সম্প্রতি নবাব এলএলবি সিনেমার রোমান্টিক একটি গানের দৃশ্যধারণ হয়েছে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে। সেখানে রোমান্টিক গানের দৃশ্যধারণে অংশ নেন শাকিব খান ও মাহিয়া মাহি। শুটিংয়ের ফাঁকে একটি ভিডিওবার্তা ধারণ করেন শাকিব খান। এই ভিডিও ইউটিউবে আপলোডের মধ্য দিয়ে নিজের নামে ইউটিউব চ্যানেল খুললেন শাকিব খান। এ ছাড়া ইউটিউবে এসকে ফিল্মস নামে তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। ইনস্টাগ্রামেও পাওয়া যাচ্ছে শাকিব খানকে।
শাকিব খান
চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, গায়ক, চলচ্চিত্র সংগঠক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাকিব খানের জন্ম ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ।
সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯) চলচ্চিত্র দিয়ে শুরু হয় তার অভিনয় জীবন।
তিনি “সুপারস্টার”, “কিং খান” ও “ঢালিউড কিং” হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা তিনি।
শাকিব তার কর্মজীবনে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনটি বাচসাস পুরস্কার ও চারটি সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার।
শাকিব অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হল ’ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, ‘খোদার পরে মা’, ’আরো ভালোবাসবো তোমায়’, ‘সুভা’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’, ‘বলবো কথা বাসর ঘরে’, ‘আদরের জামাই’, ‘ডন নাম্বার ওয়ান’, ‘প্রেম কাহিনী’, ‘শিকারি’, ‘নবাব’, ‘সত্তা’, ‘চালবাজ’, ‘ভাইজান এলো রে’ ইত্যাদি।
২০১১ সালে মনের জ্বালা চলচ্চিত্রে তিনি নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে গানে কন্ঠ দেন। ২০১৪ সালে হিরো: দি সুপারস্টার চলচ্চিত্রে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ♦