নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে আবার আয়োজিত হতে যাচ্ছে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। এক বছর বিরতির পর এ অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাজিও। কোভিড-১৯ মহামারিকে কেন্দ্র করে গত বছর দর্শনার্থীরা খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি।
১৯০৪ সাল থেকে টাইমস স্কয়ারে বর্ষবিদায় ও নতুন বর্ষবরণের অনুষ্ঠান উদযাপন হয়ে আসছে। তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ এড়াতে গত বছর জমায়েত এড়ানোর নির্দেশনা জারি করে মার্কিন রোগনিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।
এ অবস্থায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। শুধু কয়েক জন স্বাস্থ্যকর্মীকে টাইমস স্কয়ারে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তবে তারাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপস্থিত হয়েছিলেন।
এবার বর্ষবিদায় ও নতুন বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চাইলে দর্শনার্থীদের টিকার পূর্ণ ডোজ নেয়ার প্রমাণ দিতে হবে। তা না হলে কোভিড পরীক্ষা করতে হবে তাদের। ফল নেগেটিভ আসলে কেবল অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার অনুমতি পাবেন তারা।
মেয়র বিল দে ব্লাজিও বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা আবারও একত্র হচ্ছি। নগরবাসীর জন্য এটি খুব আনন্দের খবর।’
ব্লাজিও আরও জানান, সবকিছু ঠিকঠাক মতো যেন হয়, তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য দপ্তর ও নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি।
৩১ ডিসেম্বর রাতে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টায় পৌঁছানোর পরপরই একটি বল ফেলে নববর্ষের সূচনা ঘোষণা করা হয়। আর সে দৃশ্য সরাসরি উপভোগ করেন হাজারো মানুষ।
টাইমস স্কয়ার অ্যালায়েন্সের প্রধান টম হারিস জানান, এবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চাইলে পাঁচ বছরের বেশি বয়সীদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
পাশাপাশি টিকা নেয়ার প্রমাণও সরবরাহ করতে হবে তাদের। আর পাঁচ বছরের কম বয়সীদের সঙ্গী হিসেবে একজন প্রাপ্তবয়স্ককে থাকতে হবে। ওই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির অবশ্যই টিকা নেয়ার প্রমাণ থাকতে হবে। টিকা না নিয়েও যারা শুধু করোনা পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন, তাদের অবশ্যই মাস্ক পরে থাকতে হবে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে।
মহামারি পরিস্থিতি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে ২১ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৭ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। ♦