স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চিকিৎসা খাতকে আরও শক্তিশালী করতে আরও নতুন অন্তত ৫ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ দেয়া হবে। আজ রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে করোনা মোকাবেলায় ২ হাজার বেডের অস্থায়ী হাসপাতাল কেন্দ্র উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান।
বসুন্ধরা করোনা ডেডিকেটেড অস্থায়ী হাসপাতালটিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কভিড হাসপাতাল উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মাত্র ২০ দিনের মধ্যে এ হাসপাতালটি (বসুন্ধরা অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল) সরকার প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছে। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল।
তিনি বলেন, এ হাসপাতালে অত্যাধুনিক ২০১৩ আইসোলেটেড শয্যা রয়েছে, যার মধ্যে ৭১টির সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডার যুক্ত করা রয়েছে। এছাড়া এখানে আরও অন্তত ৪০০ পোর্টেবল অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। আইসিইউ ব্যাবস্থাসহ হাসপাতালটি উন্নত দেশের কোভিড অস্থায়ী হাসপাতালের থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা মোকাবেলায় দেশে এখন প্লাজমা থেরাপির কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি আমেরিকার উৎপাদিত ওষুধ রেমডেসিভির এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে ও সরকার এই ওষুধ মজুদ করছে। নন কোভিড হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের বাধ্যতামূলক চিকিৎসার জন্য সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
লক ডাউন শিথিল করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকার প্রথম থেকে একটি সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেছে। যখন লক ডাউন জরুরি ছিল তখনই লক ডাউন করা হয়েছে, যখন শিথিল করা প্রয়োজন তখন স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা সাপেক্ষে শিথিল করা হয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে সরকার যা কিছু করছে তা ভেবেচিন্তেই করছে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারলে করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি দেশ অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রেহাই পাবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম প্রমুখ। ♦