মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) হচ্ছে নগদ। যদিও এমএফএস সেবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি নগদ। কারণ নগদের মালিকানায় ডাক-বিভাগ নেই। এতদিন শুধু মুনাফা ভাগাভাগি হতো।
এখন নগদে ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা দিতে হবে ডাক-বিভাগকে। সে অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি মালিকানায় কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হবে। সেভাবেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে নগদ ও ডাক-বিভাগকে। এ নিয়ে গতকাল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক বিভাগ, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ডাক বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্টিত হয়। আফজাল হোসেন অসুস্থ থাকায় তিনি অনলাইনে অংশ নেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এমএফএস হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে নগদ ও ডাক-বিভাগের মধ্যে আইনি বাধ্যবাধকতা প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। কারণ আইনি প্রতিষ্ঠান ছাড়া ডাক-বিভাগের প্রতিনিধি হতে পারে না নগদ। এজন্য এমএফএস প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৫১ শতাংশ মালিকানা থাকতে হবে ডাক-বিভাগের। এ বিষয়ে একমত হয়েছেন সবাই। এখন যৌথ মালিকানার মাধ্যমে কোম্পানি গঠন ও আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছেন সবাই।
সূত্র জানিয়েছে, এসব প্রস্তুতি নিতে এ বছর সময় নিচ্ছে সবাই। এজন্য আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত নগদকে সাময়িকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চূড়ান্ত লাইসেন্স পেতে নগদ ও ডাক-বিভাগকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া সব শর্ত পরিপালন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ডাক অধিদপ্তরের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়ার কাজ নেয় থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস নামের প্রতিষ্ঠান। সেবাটির নাম দেয়া হয় নগদ। ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ কার্যক্রম শুরু করা নগদের বর্তমান গ্রাহক প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। দৈনিক গড়ে সাড়ে ৭০০ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। ♦