দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের

0

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দুই টাকা ৮৬ পয়সা বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৯৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল এক টাকা ৮ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে দুই টাকা ৮৬ পয়সা।

প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ২৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল এক টাকা ৮৮ পয়সা।

২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ৫৬ পয়সায়, যা ২০২১ সালের ৩০ জুন ছিল ৬০ টাকা ২৮ পয়সা।

প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৫৭ পয়সায়; অথচ আগের বছরের একই সময় ছিল চার টাকা ২১ পয়সা।

গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৫৫ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৭২ পয়সা।

৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ২৮ পয়সায়। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৭৮ পয়সা।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৫২ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩০২ কোটি ১১ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির ১৫ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৪০ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৫২ দশমিক ১০, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪ দশমিক ৩০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতে ২৯ দশমিক ৮৯ ও অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৮ দশমিক ৫২।

Share.