দেশীয় আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট অনুমোদন পেল

0

রোনাভাইরাসের তান্ডব ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে নানা উদ্ভাবন চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভাইরাস শনাক্তকরণের কিট উদ্ভাবন করেছে দেশীয় বায়োটেক কোম্পানি ওএমসি হেলথকেয়ার (প্রা:) লি:।

করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়েছে এ আরটি-পিসিআর ভিত্তিক শনাক্তকরণ কিট।

বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন (ডিজিডিএ) থেকে সম্প্রতি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও সরবরাহের অনুমোদন পেয়েছে কিটটি।

ওএমসি হেলথকেয়ারের মতে, বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাসের কিট উদ্ভাবন করে ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদন পেল।

ডব্লিউএইচও ও সিডিসির (যুক্তরাষ্ট্র) নির্দেশিকা অনুসারে নির্মিত ওএমসি হেলথকেয়ারের এ কিট। কোভিড-১৯ ভাইরাসের মিউটেশনের ধরন শনাক্তকরণে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম এটি। ফলে কার্যকর শনাক্তকরণ ও ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে এ কিট।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত করতে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার বিকল্প নেই। এ জন্য বাংলাদেশে প্রচুর টেস্ট কিট প্রয়োজন। আমদানি করা কিট তুলনামূলক দামী। সে তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম খরচে ওএমসি হেলথকেয়ারের কিট দিয়ে পরীক্ষা করা যাবে।

তাছাড়া মহামারীর কারণে সময়মত চাহিদা অনুযায়ী টেস্ট কিট আমদানী করা চ্যালেঞ্জের। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত হলে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিটের কোনো স্বল্পতা থাকবে না, বরং দেশের চাহিদা মিটিয়ে তা রপ্তানি করা যাবে।

ওএমসি হেলথকেয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল কবির বলেন, “প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে আমাদের। প্রয়োজনে এ সক্ষমতা বাড়ানো যাবে, কিটের সর্বোচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করতে আমরা স্বয়ংক্রিয় অটোমেটিক প্রোডাকশন লাইন ব্যবহার করেছি।”

আরো বলেন, ঔষধ প্রশাসন ও আইইডিসিআরের সর্বাত্মক সহযোগিতায় কিটটির দ্রুত অনুমোদন পেয়েছি।

কর্তৃপক্ষ আশাবাদী, আরটি-পিসিআর কিট মহামারী মোকাবেলা করে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের অবস্থান আরো সমৃদ্ধ করবে।

Share.