দুর্ঘটনা এড়াতে ৫৪ হাজার গাড়ি তুলে নিচ্ছে টেসলা

0

গাড়ি থামানোর জন্য ‘স্টপ সাইন’ ব্যবহার করা হয়। তবে এ সাইন দেখেও সফটওয়্যারের একটি বিশেষ ফিচারের জন্য থামছে না টেসলার তৈরি স্বচালিত গাড়ি। এ জন্য প্রায় ৫৪ হাজার গাড়ি তুলে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক এক টুইটে লিখেছেন- নিরাপত্তার কোনো কমতি নেই। তবে গাড়িগুলো না থেমে গতি কমিয়ে চলছিল।

উত্তর আমেরিকা মহাদেশে চার রাস্তার মোড় পার হওয়ার আগে চালকদের গাড়িগুলো সম্পূর্ণ থামানোর নিয়ম রয়েছে। বলা হয়, সেখানে গাড়িগুলো না থামালে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে।

টেসলার ‘রোলিং স্টপ’ ফিচারে বলা হয়েছে, যদি কোনো গাড়ির গতি ঘণ্টায় পাঁচ দশমিক ছয় মাইলের কম থাকে এবং মোড়ের কাছে যদি চলন্ত গাড়ি, পথচারী ও সাইক্লিস্ট না থাকে ও এই ইন্টারসেকশনগুলোয় গাড়ি প্রবেশের সর্বোচ্চ গতিসীমা যদি ঘণ্টায় ৩০ মাইল বেঁধে দেয়া থাকে তবে টেসলার গাড়িগুলো সম্পূর্ণ না থেমে ঘণ্টায় একই গতিতে ওই রাস্তা অতিক্রম করতে পারবে।

এরপরও জানুয়ারিতে বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করার পর গাড়িগুলো তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তে আসে টেসলা। এ তালিকায় ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের বিভিন্ন মডেলের গাড়ি রয়েছে।

এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে পেছনের ক্যামেরা ও বুট সংক্রান্ত ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে ৪ লাখ ৭৫ হাজার গাড়ি তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় টেসলা।

তার আগে আগস্টে টেসলার অটোপাইলট সিস্টেম নিয়ে তদন্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএইচটিএসএ)। টেসলার স্বচালিত গাড়ির ১১টি দুর্ঘটনার সূত্র ধরে ওই তদন্ত হয়। তবে এ সংক্রান্ত কোনো দুর্ঘটনার তথ্য তাদের কাছে এখনও আসেনি বলে জানায় টেসলা।

একাধিক দুর্ঘটনার পর রাস্তায় থেমে থাকা যানবাহনের ক্ষেত্রে টেসলার অটোপাইলট সিস্টেমের প্রতিক্রিয়া ও কার্যক্ষমতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। আর ওই বিষয় নিয়েই তদন্তে নামে এনএইচটিএসএ।

তদন্তের আওতাধীন দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে একাধিক ঘটনা ছিল- যেখানে রাস্তার পাশে থেমে থাকা পুলিশের গাড়ি বা অন্য কোনো দুর্ঘটনায় সাড়া দিতে আসা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির পেছনে সজোরে ধাক্কা দিয়েছে টেসলার স্বচালিত গাড়ি।

Share.