সদ্য সমাপ্ত জার্মানির সাধারণ নির্বাচনে পরিবেশবাদী দল গ্রিন পার্টির দুজন ট্রান্সজেন্ডার রাজনীতিক জয়ী হয়েছেন। তাদের সুবাদে এই প্রথম পার্লামেন্টে ট্রান্সজেন্ডার সংসদ সদস্য দেখতে যাচ্ছে জার্মানি। ঐতিহাসিক এ ঘটনা স্বাভাবিকভাবে দেশটিতে সাড়া ফেলেছে।
গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) সঙ্গে মধ্য-বামপন্থি সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) লড়াই হয়।
সামান্য ব্যবধানে মেরকেলের দলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে এসপিডি।
নির্বাচনে মোট ভোটের ১৪.৮ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে গ্রিন পার্টি। সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন পায় যথাক্রমে ২৬ শতাংশ ও ২৪.৫ শতাংশ ভোট।
২০১৭ সালের নির্বাচনে গ্রিন পার্টি ৮.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।
তখন জানা গেল, নতুন জোট সরকারে থাকতে পারে পরিবেশবাদী দল গ্রিন পার্টি ও লিবারেল ফ্রি ডেমোক্র্যাটসের মতো ছোট (এফডিপি) দলও। অর্থাৎ জার্মানির নতুন ত্রিমুখী জোট সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে গ্রিন পার্টি। এ গ্রিন পার্টির হয়েই লড়াই করেন টেসা গ্যানসেরার ও নাইক স্ল্যাউয়িক।
৪৪ বছর বয়সি গ্যানসেরার বলেন, ‘গ্রিন পার্টির জন্য এটি ঐতিহাসিক জয়। একই সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকারের দাবিতে চলমান আন্দোলন ও এ সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের জন্যও এ জয় স্মরণীয়।’
দুই ছেলে সন্তানের মা গ্যানসেরার চান, লেসবিয়ান মায়েদের সন্তান দত্তক নেয়ার বিধান রেখে আইন পরিবর্তন করা হোক।
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় নর্থ রাইন-ওয়েস্টফ্যালিয়া রাজ্যের একটি আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়ান স্ল্যাউয়িক।
জয়ের খবর শুনে স্ল্যাউয়িক জানান, নির্বাচনের ফল অবিশ্বাস্য।
ইনস্টাগ্রামে স্ল্যাউয়িক বলেন, ‘আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য হচ্ছে, নির্বাচনের এই ঐতিহাসিক ফলে জার্মানির পরবর্তী সংসদের সদস্য হতে যাচ্ছি আমি।’
হোমোফোবিয়া ও ট্রান্সফোবিয়ার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে কর্মপরিকল্পনার আহ্বান জানিয়েছেন স্ল্যাউয়িক। এছাড়া জার্মানির বৈষম্যবিরোধী আইনও উন্নত করতে চান এ রাজনীতিক।
প্রসঙ্গত ১৯৬৯ সালে জার্মানিতে সমকামিতায় বৈধতা দেয়া হয়। আর ২০১৭ সালে সমলিঙ্গের বিয়ে অনুমোদন পায়। ♦