করোনাকালে ঈদের আমেজ বজায় রাখা ও কেনাকাটায় সহজ সমাধানের লক্ষ্যে দেশের বৃহত্তম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশ (daraz.com.bd) আয়োজন করেছে ‘ঈদ শপিং ফেস্ট’।
ঈদ প্রায় চলে এসেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- অন্তত পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে ভাইরাস থেকে নিস্তার পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। বিশেষজ্ঞরা এমনই বলছেন। অথচ কাছের মানুষদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে না পারলে ঈদ উদযাপন অপূর্ণ রয়ে যায়। আর এটি কেবল পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের জন্য ঈদের কেনাকাটার মাধ্যমে সম্ভব। তবে এ সময় ভিড়ের মধ্যে শপিং মলে গিয়ে কেনাকাটা বিচক্ষণ নয়। কেননা সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষজ্ঞরাও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এমতাবস্থায় মানুষ যাতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়িয়ে সুরক্ষিতভাবে ঘরে বসে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেজন্য দারাজের এ ঈদ শপিং ফেস্ট।
ফেস্টে গ্রাহকরা নানা ক্যাটাগরি যেমন গ্রোসারি, ফ্যাশন, হেলথ অ্যান্ড বিউটি ইত্যাদি নানা রকম অফার ও ডিল উপভোগ করতে পারবেন।
‘আই লাভ ভাউচার’ ব্যবহার করে একজন গ্রাহক ৬,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন। এ ক্যাম্পেইনে রয়েছে ফ্ল্যাশ সেল, যেখানে সীমিত সংখ্যক পণ্য একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিশাল ছাড়ে কেনা যাবে। তাই সঠিক সময়ের অপেক্ষায় চোখ রাখতে হবে দারাজ অ্যাপে।
এছাড়া দারাজে নতুন ক্রেতাদের সবসময় স্বাগত জানানো হয়। তাই দারাজ নতুন ক্রেতাদের প্রথম কেনাকাটায় ২৫ শতাংশ ছাড় (ন্যূনতম ১০০ টাকার কেনাকাটায়, সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা ছাড়) দিচ্ছে।
শুধু তা-ই নয়। দারাজ ঈদ শপিং ফেস্টের সেরা আয়োজনের মধ্যে রয়েছে এক্সক্লুসিভ ডিজাইনার ম্যাজেন্টা হাফ সিল্ক শাড়ি মাত্র ১,৮৪৯ টাকায়। রয়েছে নোয়াহ নন-স্টিক কিচেন কিং সেট (মেরুন), দাম ৪,০০১ টাকা। ক্রেতার পোকো এম৩ (৪ জিবি র্যাম/১২৮ জিবি রম – ৪৮ মেগা পিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা – ৬,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি – স্ন্যাপড্রাগন ৬৬২) পাচ্ছেন ১৫,১৯১ টাকায়। এছাড়া ওয়ালটন প্রিল্যুড এন৫০০০ ল্যাপটপ (কোয়াড কোর ১.১০ গিগাহার্টজ প্রসেসর – ৪ জিবি ডিডিআর৪ র্যাম – ১ টেরাবাইট এইচডিডি – ১৪.০ হাই ডেফিনিশন (এইচডি) এলইডি প্যানেল – ব্ল্যাক) কেনা যাবে ২৪,৮৫৭ টাকায়। আরও রয়েছে মিডিয়া ১.৫ টন স্প্লিট টাইপ এসি (৬ বছরের কমপ্রেসর গ্যারান্টিসহ নন-ইনভার্টার), দাম ৩১,৬১১ টাকা।
দারাজ
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ। প্রতিষ্ঠানটি অসংখ্য বিক্রেতাকে লাখো ক্রেতার সঙ্গে যুক্ত করেছে।
একশোর বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষনিক ও সহজ সুবিধাদানের পাশাপাশি প্রতি মাসে ২০ লাখের বেশি পণ্য বিশ্বের সব প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ।
দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একই সঙ্গে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস ও কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারের বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে।
দারাজ নানা লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলো মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান ও নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে।
২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যে কোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এ লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ সাথে কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব ও প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করছে। ♦