দেশের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে উদযাপন করল তাদের ৭ম বর্ষপূর্তি ক্যাম্পেইন। শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটি (www.daraz.com.bd) টানা সাত বছরের ব্যবসায়িক সাফল্য উদযাপন করেছে তাদের প্রিয় গ্রাহক, বিক্রেতা এবং অগণিত পার্টনার ও অংশীজনদের সঙ্গে।
ক্রেতাদের জন্য বর্ষপূর্তি স্মরণীয় করে রাখতে দারাজ ‘থ্যাঙ্ক ইউ বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে প্রতি বছর এ বিশেষ ক্যাম্পেইন আয়োজন করে।
ক্যাম্পেইনের প্রথম দিন মোট বিক্রির সংখ্যা ছিল গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ক্যাম্পেইনের শেষ দিন (৮ সেপ্টেম্বর) গত বছরের তুলনায় চার গুণ বেশি পণ্য বিক্রি হয়। ক্যাম্পেইনে অর্ডারের পরিমাণ ছিল সাধারণ দিনের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। প্রায় ১৩,৫০০ বিক্রেতা এ ক্যাম্পেইনে অংশ নেন, যা গত বছর তুলনায় দ্বিগুণ ছিল। গত বছরের তুলনায় এ বছরের ক্যাম্পেইনে ব্যতিক্রমী প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ক্যাম্পেইনে আকর্ষণীয় ৭ টাকা মিস্ট্রি বক্স অফার উন্মোচনের এক মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। রিয়েলমি নারজো স্মার্টফোনের সব ইউনিট ও এক মিনিটের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়।
ক্যাম্পেইনে সর্বাধিক বিক্রিত পণ্যগুলো হচ্ছে – ইনফিনিক্স এইচডি-৩, রিয়েলমি নারজো, রিয়েলমি সি২০এ, রিয়েলমি ৮ প্রো, অপো এ১৬, রিয়েলমি সি২১, নকিয়া ৬.২ স্মার্টফোন ও এমআই টিভি। ক্রেতাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল রিয়েলমি, স্যামসাং, অপো, অ্যামাজফিট, হাগিস, পুষ্টি, রূপচাঁদা ও আরও কয়েকটি ব্র্যান্ড।
ক্যাম্পেইনে যেসব ক্যাটাগরির পণ্য সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় তার মাঝে রয়েছে – ফ্যাশন পণ্য, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ঘরবাড়ির সরঞ্জাম, হেলথ ও বিউটি পণ্য।
দারাজ বাংলাদেশে লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, “আমাদের ক্রেতারা আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার উৎস।”
তিনি আরও বলেন, “তাদের ধারাবাহিক সমর্থন এবং আস্থা আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করে। আমি দারাজের সকল ক্রেতা, বিক্রেতা এবং অংশীদারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সাত বছরের আমাদের যাত্রা ছিল অসাধারণ, সামনের বছরগুলোয় আমরা আরও অনেকদিন এভাবেই আমাদের যাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রত্যাশী।”
দারাজ
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ। প্রতিষ্ঠানটি অসংখ্য বিক্রেতাকে লাখো ক্রেতার সঙ্গে যুক্ত করেছে।
একশোর বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষনিক ও সহজ সুবিধাদানের পাশাপাশি প্রতি মাসে ২০ লাখের বেশি পণ্য বিশ্বের সব প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ।
দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একই সঙ্গে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস ও কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারের বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে।
দারাজ নানা লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলো মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান ও নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে।
২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজ অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যে কোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এ লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব ও প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করছে। ♦