তাহসান আসছেন, নতুন বছরে নতুন চমক নিয়ে

0

বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকা কণ্ঠশিল্পী তাহসান রহমান খান। একাধারে তিনি মডেল ও অভিনেতাও। করোনাকালেও বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সম্প্রতি ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করেছেন। ব্যস্ত রয়েছেন নাটক, নতুন গান ও বিজ্ঞাপনের কাজ নিয়ে।

এর মধ্যে নতুন খবর দিয়েছেন তাহসান‌। এখন তিনি লেখালেখি করছেন। সব পরিচয় ছাপিয়ে তার লেখক হিসেবেও পরিচিতি পাচ্ছেন।

লকডাউনের সময় ঘরে বসে বিস্তর লেখালিখে করেছেন। লেখাগুলো দিয়ে একটি বই প্রকাশের ইচ্ছে রয়েছে তার।

তাহসান বলেন, লেখালেখির নেশা আগে থেকেই ছিল। করোনায় গল্প ও কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি। তবে কখনো বই প্রকাশ করার কথা ভাবিনি। করোনার বন্দি সময়ে আবার যখন লেখালেখি শুরু করলাম, তখন নতুন করে ভেবেছি, এখনকার লেখাগুলো নিয়ে বই প্রকাশ করা যায় কিনা? সেই ভাবনা থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী একুশে গ্রন্থমেলায় ঘরবন্দি সময়ের লেখাগুলো নিয়ে একটি বই প্রকাশ করব। তবে তা গল্প নাকি কবিতার বই হবে, এখনো চূড়ান্ত করিনি।

‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ চলচ্চিত্র নিয়ে বলেন, সিনেমাটির শুটিং কয়েকদিন আগে শেষ হয়েছে। ডাবিংয়ের কাজও শেষ করে ফেলেছি। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকসহ যেসব কাজ বাকি ছিল, সেগুলো একে একে শেষ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

লকডাউনের পরের কথা নিয়ে বলেন, আমাদের জীবনযাত্রা, কাজের পরিবেশ সবই বদলে গেছে। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে মানুষ বাধ্য হয়ে ঘরের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু কোথাও আগের মতো উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা চোখে পড়েনি। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর প্লেব্যাকসহ বেশকিছু নাটক ও বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। তখনো মনে হয়েছে, কাজের পরিবেশ আগের মতো নেই। মনে ভয় নিয়ে, সতর্ক থেকে যে যার কাজ শেষ করে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

তাহসান রহমান খান
তাহসান রহমান খানের জন্ম ১৯৭৯ সালে, মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে। বিয়ে করেন মডেল ও অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলাকে। এক কন্যার জনক তিনি।

পড়ালেখা করেন এ জি চার্চ স্কুল ও সেন্ট যোসেফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৯৮ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে ব্যাচেলর (মার্কেটিং) ও মাস্টার (ফাইন্যান্স) ডিগ্রী নেন। ২০০৮ সালে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা কার্লসন স্কুল অব ম্যানেজমেন্টে ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টের উপর পড়তে যান। ২০১০ সালে মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রী অর্জন করে দেশে ফেরেন।

বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি করেছেন তাহসান।

তিনি ছায়ানট থেকে রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন। তিনি ব্যান্ডদল ব্ল্যাক প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ব্যন্ড দল থেকে আলাদা হয়ে নিজস্ব ধারার গানে সম্পৃক্ত হন। রাজধানীর বাংলামোটরে ‘কৃত্যদাসের আবাসে’ নামে তার নিজস্ব স্টুডিও রয়েছে। 

Share.