কিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমিরা তাদের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় যেমন ফাইনালের আশায় থাকে, এবার পাকিস্তান সুপার লিগ দেখছে ধরণের ফাইনাল। ঐতিহ্যবাহী দুই ঘরোয়া প্রতিদ্বন্দ্বী লাহোর ও করাচি আগামীকাল করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে পঞ্চম পিএসএলের ফাইনালে।
গতকাল দ্বিতীয় এলিমিনেটরে লাহোর কালান্দার্স ২৫ রানে হারিয়ে দিয়েছে মুলতান সুলতানসকে। লাহোরের ১৮২ রান তাড়া করে মুলতান অলআউট হয় ১৫৭ রানে।
বাংলাদেশের চোখও পিএসএলের ওপর নিবদ্ধ ছিল তামিম ইকবাল সেখানে খেলছেন বলে। আগের দিন ১০ বলে ১৮ করে আউট হয়েছেন, এ ম্যাচে ৩০ রান করে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ওপেনার। আউট একইভাবে, শর্ট পিচ বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ। ব্যাটে বড় একটা ঝড়ের আভাস জাগিয়ে ক্যাচ হয়েছেন বাঁহাতি পেসার জুনায়েদ খানের বলে। ২০ বল খেলে দৃষ্টিনন্দন পাঁচটি চার মেরেছেন।
তামিম দলের চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোরার। তবে লাহোরের হয়ে দুর্দান্ত করছেন ৩৫ বছর বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকান ডেভিড ভিসা। প্রথম এলিমিনেটরে ম্যাচসেরার পুরস্কারটি হারিয়েছেন তিনি মোহাম্মদ হাফিজের কাছে। এ ম্যাচে নিবার্চকেরা তাকে পুরস্কার বঞ্চিত করতে পারেননি। গত রাতটা ছিল আসলে ভিসার। যে লাহোর এক সময় বড়জোর ১৬০ রান করতে পারতো বলে মনে হয়েছিল, সেই লাহোরকে তিনি নিয়ে গেছেন ১৮২ রানের চূড়ায়।
১৮২ রান তাড়ায় জিশান আশরাফকে নিয়ে লাইথ দুর্দান্ত সূচনা করেছিলেন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মুলতান তুলে নেয় ৬৩ রান, ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৯১। তবে ২৮ বলে ফিফটি করা লাইথকে ভিসা ৮০ রানের মাথায় ফেরাতে মন্থর হয়ে যায় রানের চাকা। দুই ফাস্ট বোলার শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে পান নিজেদের।
এ সময় ‘বুড়ো’ শহীদ আফ্রিদির ওপর অনেক নির্ভরতা ছিল মুলতানের। কিন্তু হারিসের বলে তিনি পান ‘গোল্ডেন ডাক’। ১৯তম ওভারে শাহীন আফ্রিদি পর পর দুই বলে উইকেট নিয়ে মূলতানকে পরিণত করেন ৯ উইকেটে ১৫৫ রানে। শেষ ওভারের প্রথম বলে ইমরান তাহির ক্যাচ হতেই মুলতান শেষ ১৫৭ রানে। দুই দলই প্রথমবারের মতো ফাইনালে, সুতরাং পঞ্চম পিএসএল পাচ্ছে নতুন চ্যাম্পিয়ন।
স্কোর
লাহোর: ২০ ওভারে ১৮২/৬ (ভিসা ৪৮*, ফখর ৪৬, তামিম ৩০, সামিত ২৬, আফ্রিদি ২/১৮, ইলিয়াস ১/১৭, লাইথ ১/২২)
মুলতান: ১৯.১ ওভারে ১৫৭ (লাইথ ৫০, খুশদিল ৩০, মাসুদ ২৭, রুশো ১৮, ভিসা ৩/২৭, হারিস ৩/৩০, দিলবার ২/২৯)। ♦