সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভাল করলেও লংগার ভার্সনে প্রায়ই বাজে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। তাই টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির জন্য ছোট পরিকল্পনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে দলটি।
অধিকাংশ ক্রিকেট জাতীর মতো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পরিবর্তে কোন সুনির্দিষ্ট সিরিজ নিয়ে পরিকল্পনা করতে চায় বাংলাদেশ। তবে সিরিজ বাই সিরিজ পরিকল্পনায় বাংলাদেশ বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বলে জানিয়েছেন টাইগার দলের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। তার বিশ্বাস এ পরিকল্পনাই খেলোয়াড়দের সুনির্দিষ্ট বিষয়ে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দেয়।
এ বছর আটটি টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। কিন্তু কোভিড-১৯ ভাইরাস মাহামারীর কারণে তা ভেস্তে গেছে।
মুমিনুল বলেন, আমাদের দীর্ঘমেয়াদি কোন পরিকল্পনা নেই। বরং সিরিজ বাই সিরিজ পরিকল্পনা রয়েছে। যা আমাদের খেলোয়াড়দেরকে একই সময় একটি বিষয়ে মনোযোগী থাকার সুযোগ করে দেবে বলে আমরা মনে করি।
দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনায় আপনাকে সামগ্রিক বিষয়ে চিন্তা করার স্বাধীনতা দেবে। তবে আমরা এখনো সুনির্দিষ্ট ছোট ছোট বিষয়ে মনোযোগী থাকার পরিকল্পনা করছি। যা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই। আমরা জানি টেস্টে আমরা খুব ভাল নই। তবে আমরা এও জানি যে আমাদের মধ্যে ভাল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সিরিজ বাই সিরিজ এগুনোই বরং ভাল।
বাংলাদেশ দলের টেস্ট বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত মুমিনুল বলেন, আত্মবিশ্বাস ফেরাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়টি খুবই দরকার ছিল। পাকিস্তান ও ভারতের কাছে হেরে আমাদের আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়েছিল। এটি ঠিক যে অধিানয়ক হিসেবে আমার শুরুটা ভাল হয়নি। তবে আমি মনে করি এটি একটি আশীর্বাদ। প্রথম সুযোগেই নিজেদের ঘাটতি কোথায় রয়েছে সেটি বুঝে নেয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে।
মুমিনুল বলেন, ওই বড় পরাজয়ের পর আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমরা নিজেদের ঘাটতি খুঁজে নিয়ে তা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা বেশ ভালভাবেই সেটি পুষিয়ে নিয়েছি। যার ফলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে আমরা খুব ভাল করেছি। এটি একটি ভাল দিক। আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্টের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কারণ সেখানেই নিজেদের সঠিক ভাবে জানার সুযোগ ছিল। বুঝতে পারতাম আমরা সঠিক পথে আছে কিনা।
কোভিড-১৯ এর সংক্রমনে অনেক টেস্ট স্থগিত হওয়ায় হতাশ মুমিনুল। তবে আশা করছেন, ম্যাচগুলো খেলার উপায় বের করবে আইসিসি।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, এটি সত্যিই হতাশার। তবে আমাদের কি-ই বা করার আছে? আশা করি অচিরেই বিদায় নিবে এ ভাইরাস। আর আমরা ক্রিকেটে ফিরে আসব। এক বছরে বাংলাদেশ খুব কম টেস্টই খেলার সুযোগ পেয়ে থাকে। আশা করি আইসিসি আমাদের টেস্টগুলো পুনরায় খেলার সুযোগ করে দিবে। কারণ ওই টেস্টগুলো ছিল আইসসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের আওতাধীন ম্যাচ। যদিও জানি, ব্যস্ত এ সুচির মধ্যে এমন সময় বের করে আনা কঠিন। তারপরও আমি আশাবাদী। ♦
— সংবাদ সংস্থা বাসসের সাহায্য নিয়ে লেখা