মহামারি নানা সামাজিক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। নেতিবাচকের ভিড়ে ইতিবাচক খবর হচ্ছে, দেশজুড়ে প্রযুক্তি সংক্রান্ত নানা বিষয় গ্রহণের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হচ্ছে। যেমন টেলিনর রিসার্চ সম্প্রতি প্রযুক্তি নিয়ে পাঁচ পূর্বাভাস করেছে, যা চলতি বছর মানুষের পথচলার নানা ক্ষেত্রে পরিবর্তনে সহায়তা করবে।
গতকাল সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণফোন রাজধানীর জিপি হাউজে এক অনুষ্ঠানে টেলিনরের প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট এ পূর্বাভাসগুলো নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
নানা কারণে ২০২০ সাল ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। গত বছরটি ছিলো শতাব্দীর অন্যতম প্রতিকূল সময়। একইসঙ্গে এ সময়ে বিশ্বজুড়ে ঘটেছে নানা পরিবর্তন। কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মানুষকে নিউ নরমাল বা নতুন এক জীবনধারণে অভ্যস্ত করে তুলেছে।
টেলিনর গবেষণা টেক ট্রেন্ড নামে পরিচিত। এর ষষ্ঠ সংস্করণে ২০২১ সালের প্রযুক্তি দুনিয়ার পূর্বাভাস হিসেবে দূরশিক্ষণ ও কাজের জন্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। রয়েছে ইন্টারনেটে সুরক্ষা বিষয়ে শংকা, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারে আধিক্য ও একাকিত্ব ঘোচাতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার নানা বিষয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে টেলিনর রিসার্চের হেড বিয়র্ন তালে স্যান্ডবার্গ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে গবেষনার বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন। বলেন, “বৈশ্বিক মহামারি আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে শিখিয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রায়ই প্রতিটি খাতই এক সময় যা অসম্ভব বলে চিন্তা করা হতো সে বিষয়গুলো গ্রহণ করেছে। ২০২১ সালে বড় ধরণের সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধ ও নতুনভাবে কাজের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ও বেঁচে থাকার জন্য ডিজিটালাইজেশন যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে গত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে তা প্রমাণিত হয়েছে।”
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, “বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলো তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে- এ বিষয়টি দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ডিজিটাল সেবাগুলো বৈশ্বিক মহামারিতে আমাদের দেশের জনগণের সুরক্ষা ও অর্থনীতির গতি সচল রাখতে দ্রুততার সঙ্গে যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশমালাগুলো গ্রহণ করা হয়েছিলো সেগুলোর বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করেছে। মানুষকে তাদের প্রয়োজনীয় সমাধান দিতে উদ্যোক্তা, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের জন্য গবেষনার বিষয়গুলো ভবিষৎ কর্মপন্থা সঠিকভাবে পরিচালিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
২০২১ সালে দূরশিক্ষণ ও ভার্চুয়াল শিক্ষার ইকোসিস্টেমে পরিবর্তন আনতে সহায়তার জন্য নতুন প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানাচ্ছে টেলিনর রিসার্চ। বাসায় থেকে কাজ করার বিষয়টি চলতি বছর ইতিমধ্যে নিউ নরমালে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে নতুন ডিজিটাল টুলগুলোর সক্ষমতা বিকাশ, দক্ষতা, ডেটা ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করবে।
অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর), ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক অত্যাধুনিক চ্যাটবটের মতো প্রযুক্তি মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে, যারা দীর্ঘমেয়াদে একাকীত্ব অনুভব করছেন তাদের সহায়তা করবে এসব প্রযুক্তি।
জ্বালানি সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে। বায়ু বিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি তৈরিতেও এআই সহায়ক ভূমিকা রাখবে। শহরে সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে সামগ্রিকভাবে পরিবেশগত ও জীবন ধারণের পদ্ধতিতেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “আমরা সম্মিলিতভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথচলাকে ত্বরান্বিত করতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি বৈশ্বিক মহামারিতে আমাদেরকে নানাভাবে সাহায্য করেছে। আমাদের আচরণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। এই টেক ট্রেন্ডগুলো দেখাচ্ছে যে, প্রযুক্তি ও কানেক্টিভিটি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করতে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির ভিত্তি তৈরি করবে একইসঙ্গে গ্রিন টেকের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে, ইন্টারনেটে নিরাপদে থেকে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে। এই বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য আমরা রেগুলেটর, ইকোসিস্টেম পার্টনার, উদ্ভাবক ও পলিসি মেকারদের সঙ্গে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।”
এটুআইয়ের পলিসি এডভাইজার আনির চেীধুরী, এসবিকে ভেনচার অ্যান্ড এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহতাব খানম আলোচনায় অংশ নেন।
টানা ছয় বছরের মতো স্যান্ডবার্গ ও টেলিনর রিসার্চ টিম গত বছর বিশ্লেষণ করে ২০২১ সালের পাঁচ টেক ট্রেন্ড নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে:
ট্রেন্ড ১:
মানসিক স্বাস্থ্যজনিত অসুস্থতা মোকাবিলায় প্রযুক্তির ব্যবহার
কোভিড-১৯ মানুষের মাঝে বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্বের বিষয়টিকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে, যা নতুন এক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী বিচ্ছিন্নতা মানুষকে বিষন্নতা ও উদ্বিগ্ন করে তোলে।
স্যান্ডবার্গ বলেন, ‘২০২০ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে, নিঃসঙ্গতা জনস্বাস্থ্যের একটি মৌলিক সমস্যা। এটি এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা, যা মোকাবিলায় ২০২১ সালে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ের প্রয়োজন পড়বে। আমরা অনুমান করছি যে, ই-হেলথ খাত মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন ব্যবস্থাপনা নিয়ে আসবে, যা এখাতে সেবার বিকাশ ঘটাবে। পুরোপুরি ফাইভজি বাস্তবায়নকারী দেশগুলোয় আমরা সম্ভবত হলোগ্রাফিক কমিউনিকেশন টুল হিসেবে অগমেন্টেড ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি’র ব্যবহার দেখতে পাবো আগামী বছরের মধ্যে।’
এ ছাড়া ২০২১ সালে নতুন প্রজন্মের চ্যাটবটের আবির্ভাব ঘটবে। যারা নিঃসঙ্গতায় ভুগছেন তাদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হবে। কৃত্তিমবুদ্ধিমত্তা নির্ভর এই ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রশ্নের উত্তর প্রদান, কল করার সুবিধা, বিনোদন প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে যা সংযুক্ত থাকার অনুভূতি দেবে।
ট্রেন্ড ২
গ্রিন টেকের জন্য একটি ডিজিটাল বসন্ত
স্যান্ডবার্গ বলেন, ‘মহামারি অতীব প্রয়োজনীয় জলবায়ুবান্ধব কার্যকলাপের সূত্রপাতের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্বের সব সরকার জলবায়ু আইন কার্যকর করার মাধ্যমে ২০২১ সালের সবুজ পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করতে ২০২০ সালে প্রাপ্ত গতি কাজে লাগাবে।’
বিশ্বের সব শহরে ডেটা সেন্টার ও মোবাইল বেস স্টেশনগুলোয় জ্বালানি খরচ সাশ্রয়ের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করবে। এমন পদক্ষেপ বায়ুশক্তির মতো নবায়নযোগ্য শক্তিকে আরো অনুমানযোগ্য করবে ও পরিবহণের অনুকূলকরণ ও বায়ুর গুণমান পূর্বাভাসের মাধ্যমে ‘স্মার্ট’ শহর তৈরিতে সহায়তা করবে। যখন আল্ট্রা-স্মল ও আল্ট্রা-লো পাওয়ারড ড্রোনগুলি চিত্র-প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে জলবায়ু-উন্মুক্ত অঞ্চলগুলির ড্রোন পর্যবেক্ষণকে সম্প্রসারণ করতে আকাশে উড়তে শুরু করবে, তখন টাইনি মেশিন লার্নিং (টাইনিএমএল) নামে পরিচিত এআই-চালিত মাইক্রো আইওটি ডিভাইস অপারেশন শুরু করবে। যেসব কৃষকদের কৃষি শ্রমিক খুঁজে পেতে বেশ ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাদের সহায়তায় শহরের বাইরে নতুন অটোনমাস মডুলার রোবট ক্ষেতে কাজ করবে। মেশিনের মাধ্যমে আগাছা পরিস্কারের পদ্ধতি কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে আনবে, ফলে কৃষিকাজের পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস পাবে।
ট্রেন্ড ৩
পাসওয়ার্ড আতংক: সাইবার সুরক্ষা চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হবে
২০২১ সালে যারা সঠিক পাসওয়ার্ড ব্যাবহারের সমাধান সম্পর্কে অবগত নন বা যারা কঠোর ডিজিটাল হাইজিন বজায় রাখছেন না তারা ‘পাসওয়ার্ড আতঙ্ক’ নামক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন। যখন নিয়ে আপনার মন আবারো পাসওয়ার্ড ব্ল্যাঙ্কের মতো পরিস্থিতর সামনে পরে যায়, তখন এমন প্রচণ্ড হতাশার একটি অনুভূতি তৈরি হয়। প্রতি তিন মাস অন্তর আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন ও পাসওয়ার্ড পুনরায় ব্যবহারের সাধারণ পরামর্শ এ পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তোলে।
স্যান্ডবার্গ ভবিষ্যদ্বাণী করেন, “যেহেতু কর্মীরা তাদের লগইন ডিটেইলস মনে রাখার জন্য মূল্যবান সময় নষ্ট করেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ব্যবহারকারী-বান্ধব সুরক্ষা সমাধানের বৃহত্তর বাস্তবায়ন দেখার প্রত্যাশা করি। পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সুবিধা বা আইরিস এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানিং সমাধান আরও বেশি প্রচলিত হবে, যার মাধ্যমে দক্ষতা, সুরক্ষা নিশ্চিত হবে এবং শ্রমিকদের ঝামেলার একটি কারণ কমে যাবে।”
ট্রেন্ড ৪
কর্ম ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা সহজ হবে
২০২০ সালে অনেক কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করেছেন। এ বিস্ময়কর ও হঠাৎ রূপান্তর নির্বিঘ্নে ঘটেছে, যার ফলে চিরদিনের জন্য এটা নিশ্চিত হয়েছে যে কানেক্টিভিটি ও সঠিক ডিজিটাল টুলসের মাধ্যমে যে কোনো জায়গায় যে কোনো সময় কাজ সম্পাদন করা যাবে। এ রূপান্তর কর্মীদের মধ্যে নতুন প্রত্যাশা তৈরি করবে, বিশেষত বাড়ি বা অন্য স্থান থেকে নিয়মিতভাবে কাজ করার ব্যাপারে এবং কাজ ও জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়ে। শ্রমিকরা এমন সুযোগসুবিধাও প্রত্যাশা করে যার মাধ্যমে যেকোন জায়গায় তারা কাজ করতে পারবেন। আজকের কফিশপগুলো যদি আগামীকালের সভাকক্ষে পরিণত হয় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
“২০২১ সালে আমরা আশা করি অনেক প্রতিষ্ঠান অফিসের বাইরেও কর্মীদের কাজ সম্পাদনের ব্যাপারে আরো নমনীয়তা প্রদর্শন করবে। ভবিষ্যতের কাজের পদ্ধতির জন্য উপযুক্ত প্রয়োজনীয় দক্ষতা নিশ্চিত করতে পরিচালকরা কর্মীদের সাইবার সুরক্ষা ও ডিজিটাল হাইজিন, ডিজিটাল টুলস এবং প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কিত দক্ষতা বৃদ্ধির উপর আরো জোর দেবে”, বলেন স্যান্ডবার্গ।
ট্রেন্ড ৫
শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবধান নিয়ে ভাবনা
কোভিড-১৯ লকডাউন ডিজিটাল শিক্ষার বিস্তার ও নতুনত্ব সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করলেও বৈশ্বিক শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যবধান কমাতে লকডাউন বিশেষ ভুমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
লকডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ হওয়ায় লাখো শিশু ও তরুণ ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার কারণে পড়াশোনা ঠিকমতো চালিয়ে যেতে পারেনি। ২০২১ সালে আমরা দ্রুত অগ্রগামী ভার্চুয়াল শিক্ষার ক্ষেত্র থেকে উদ্ভাবিত দূরবর্তী, ডিজিটাল শিক্ষার নতুন ও সৃজনশীল পদ্ধতির একটি ক্রমবর্ধমান প্রবণতা দেখতে পাবো। নেটওয়ার্ক অ্যাকসেস ও ইন্টারনেট-সক্ষম ডিভাইস রয়েছে এমন সবাই এ ডিজিটাল যাত্রায় অংশ নিতে পারবেন। এর সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। কানেক্টিভিটি ছাড়া মানুষ বঞ্চিত হবেন।
স্যান্ডবার্গ বলেন, “যদি এই জরুরি সমস্যা আন্তর্জাতিকভাবে দেশগুলির মধ্যে সঠিকভাবে সমাধান না করা হয় তবে আমরা আসন্ন বছরগুলোয় উল্লেখযোগ্য বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবো। শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবধানের ব্যাপক ঝুঁকি বাড়বে। এই ব্যবধানটি কাটিয়ে উঠতে হলে শিক্ষা ও আইসিটি ক্ষেত্রকে শক্তিশালী এবং দ্রুত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে, সবার জন্য ডিজিটাল স্বাক্ষরতা নিশ্চিতকরণ ও প্রচারের জন্য একযোগে কাজ করতে হবে।
গ্রামীণফোন
দুই দশক আগে যাত্রা করে গ্রামীণফোন। বর্তমানে বাংলাদেশের ১ নম্বর নেটওয়ার্ক গ্রামীণফোন।
গ্রাহকের জীবন ডিজিটালাইজ করা ও সামাজিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে গ্রামীণফোন। দ্রুতগতির থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেটের উপর ভিত্তি করে গ্রামীণফোন বিনোদননির্ভর জিপি মিউজিক, ওয়াওবক্স ও বায়োস্কোপের মতো ইনোভেটিভ ডিজিটাল সল্যুশন সরবরাহ করেছে।
স্বাস্থ্য প্রয়োজনীয়তার জন্য টনিক ও গ্রাহকদের জীবনকে আরও সুশৃঙ্খল ও নিয়ন্ত্রিত করার জন্য জিপে ও মাইজিপির মতো সেবাও দিচ্ছে।
দীর্ঘ এ পথচলায় গ্রামীণফোন গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক অবকাঠামো তৈরির জন্য এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৪৭.৪ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করেছে।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ করদাতা প্রতিষ্ঠানের একটি গ্রামীণফোন। দেশে বর্তমানে প্রায় সব উপজেলা ও জেলা শহরে ৩,৭৬,২৮৫ ইউনিক রিচার্জ আউটলেট রয়েছে। এ ছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোয় ৬,৮৩৬ এক্সপ্রেস স্টোর ও গ্রাহকদের ডিজিটাল সেবার অভিজ্ঞতা দেয়ার লক্ষে দুটি জিপি লাউঞ্জ রয়েছে।
গ্রামীণফোনে ২৪০০ স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মচারী রয়েছে।
জিপি একসিলারেটর প্রোগ্রামের আওতায় এখন পর্যন্ত ২৬ স্টার্টআপ কোম্পানিকে নগদ ২.৯৮ মিলিয়নের সহায়তা ও অ-আর্থিক ১৪ মিলিয়ন টাকার সহায়তা দিয়েছে গ্রামীণফোন। ♦