মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মর্কতা বা সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্ল্যাটফর্মটির সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি।
টুইটার জানায়, তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা পরাগ আগারওয়াল।
এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের বড় কয়েকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব উঠে এলো ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। মাইক্রোসফটের সত্য নাদেলা, গুগলের সুন্দর পিচাইয়ের পর টুইটারের সিইও হিসেবে যোগ দিলেন পরাগ আগারওয়াল।
জ্যাক ডরসি ২০০৬ সালে বিজ স্টোন, ইভান উইলিয়ামস ও নোয়া গ্লাসের সঙ্গে মিলে টুইটার প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকে তিনি টুইটারের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে ছিলেন।
পরে নিয়ে আসেন পেমেন্ট গেটওয়ে ফার্ম স্কয়ার। সেটিরও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ডরসি।
দায়িত্ব নিয়ে টুইটারকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করেন ডরসি। নিয়ে আসেন নানা ধরনের নতুন সব প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন।
এক বিবৃতিতে ডরসি বলেন, ‘অবশেষে আমার চলে যাওয়ার সময় হলো। কোম্পানি এখন সামনের দিকে এগোতে প্রস্তুত।’
ডরসি জানান, গভীর বিশ্বাস থেকেই তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন।
পরাগ সম্পর্কে ডরসি বলেন, ‘আমি তার দক্ষতা, মন ও আত্মার প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এটাই তার নেতৃত্ব দেয়ার উপযুক্ত সময়’।
পরাগ আগারওয়াল ২০১১ সালে টুইটারে যোগ দেন। ২০১৭ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেন।
বিশ্লেষকরা জ্যাক ডরসির টুইটার ছাড়ার কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ওপর বিনিয়োগকারীদের সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অত্যধিক চাপের কথা উল্লেখ করছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পেমেন্ট গেটওয়ে স্কয়ার চালুর পর টুইটার তার নিজের কাজে কিছুটা অমনোযোগী হয়ে পড়েছে। সে জন্য বিনিয়োগকারীরা মাধ্যমটির উপর কিছুটা নাখোশ।
ডরসি জানান, তিনি টুইটারের সিইও পদ ছাড়লেও প্রতিষ্ঠানটির বোর্ডে থাকবেন। ২০২২ সাল পর্যন্ত তাকে ওই বোর্ডে থাকতে হচ্ছে।
আগারওয়াল বিবৃতিতে বলেন, তিনি নতুন দায়িত্ব নিয়ে টুইটারকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ও সমৃদ্ধ করতে কাজ করবেন। ♦