টিকা না নিলে চাকরি হারাবেন সিঙ্গাপুরের পেশাজীবিরা

0

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সচেতন নগররাষ্ট্র সিঙ্গপুরের কর্তৃপক্ষ। এজন্য নানা ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। সম্প্রতি দেশটি জানায়, টিকা না নিলে প্রায় ৪৮ হাজার পেশাজীবি চাকরি হারাতে পারেন।

সিঙ্গাপুরের সরকার জানায়, সব ধরণের কর্মস্থলে প্রবেশের ক্ষেত্রে নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে কভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ সনদ থাকলে কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছিলেন। সেই সুবিধা বাতিল করে টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সিঙ্গাপুরে টিকাদানের হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। টিকা নেয়নি এমন নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দেশটি। তাদের রেস্টুরেন্ট ও শপিংমলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গত ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে অন্তত ৪৮ হাজার কর্মী টিকা নেননি। এ হিসেবে দেশটির মোট শ্রমশক্তির দুই শতাংশ টিকার বাইরে রয়েছেন। তবু বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে সরকার।

সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় সচিব রাহায় মাহজাম বলেছেন, যদি এই ৪৮ হাজারের সবাই করোনায় আক্রান্ত হন, তবে তা সত্যিই আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

সম্প্রতি ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নীতি থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলেছে কর্তৃপক্ষ। এর পরিবর্তে কর্মক্ষেত্রে পুনরায় কর্র্মীদের আসতে উৎসাহ দিচ্ছে দেশটি। এ কারণে সব কর্মীর জন্য টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এখন থেকে নিয়োগদাতারা টিকা না নেয়া কর্মীদের বরখাস্ত করতে পারবেন। চাইলে তাদের জন্য ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নীতি বহাল রাখতে পারবেন। অর্থাৎ তারা যেন বাড়িতে বসে কাজ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া নিয়োগদাতারা তাদের বিনাবেতনে ছুটিতে রাখতে পারবেন।

টিকা না নেয়া কর্মীরা দীর্ঘদিন কর্মক্ষেত্র থেকে দূরে থাকলে তাদের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণে টিকার প্রতি অনীহার কারণ জানতে তাদের সঙ্গে নিয়োগদাতাদের কথা বলার পরামর্শ দিয়েছে সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশন অ্যান্ড সিঙ্গাপুর ম্যানুফ্যাকচারিং ফেডারেশন।

সিঙ্গাপুরে মোট জনগোষ্ঠীর ৮৭ শতাংশ টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন। ৪৯ শতাংশ নাগরিক বুস্টার ডোজও নিয়েছেন।

Share.