খেলা ডেস্ক: জাল পাসপোর্ট বানানোর দায়ে জেল খাটছেন ব্রাজিল তারকা রোনালদিনহো। এই দুঃসময়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা।
জাল পাসপোর্ট বানিয়ে প্যারাগুয়ে যেতে চেয়েছিলেন ব্রাজিল তারকা রোনালদিনহো। নিজেকে প্যারাগুইয়ান বলে দাবি করেছিলেন তিনি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। জেলে থাকতে হচ্ছে এখন। গোটা ব্যাপারটাই কষ্ট দিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে।
ম্যারাডোনা মনে করেন, অধিক জনপ্রিয়তাই কাল হয়েছে রোনালদিনহোর, ‘রোনালদিনহোর সঙ্গে যা হয়েছে, তা আমাকে কষ্ট দিয়েছে। সে কোনো অপরাধী বা আসামী নয়। ও শুধু নিজের কাজ করতে প্যারাগুয়েতে যেতে চেয়েছিল। ওর অপরাধ হলো ওকে সবাই চেনে, ও অনেকের আইডল।’
একটি দাতব্য সংস্থার আহ্বানে প্যারাগুয়ে গিয়ে মহাবিপদে পড়েছেন ব্রাজিল তারকা। জাল পাসপোর্ট বহনের দায়ে এত দিন প্যারাগুয়ের জেলে আটক ছিলেন এই ব্রাজিল তারকা। এখন যদিও প্যারাগুয়ের একটি হোটেলে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে তাঁকে। রোনালদিনহোর দাবি, তাঁর হাতে থাকা জাল কাগজপত্র আমন্ত্রণ জানানো প্রতিষ্ঠানই সরবরাহ করেছিল। এ নিয়ে তাঁর আইনজীবী ও প্যারাগুয়ের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির মধ্যে চলছিল আইনি লড়াই।
প্রথমে খুব একটা ঝামেলা হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছিল। পরে জানা যায়, শুধু জাল পাসপোর্ট বহন করার নয়, আরও বেশ কিছু আইন ভাঙার অভিযোগ আনা হয়েছে ব্রাজিলিয়ান বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারের বিপক্ষে। প্যারাগুয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ বিভাগের সহযোগিতায় সাবেক বার্সেলোনা খেলোয়াড়ের প্রেসিডেনশিয়াল স্যুটে তল্লাশি চালিয়েছিল। রোনালদিনহো ও তাঁর ভাই রবার্তোর বিরুদ্ধে জাল কাগজপত্র দেখিয়ে প্যারাগুয়ে প্রবেশের অভিযোগ করা হয়েছিল। দেশটি প্রবেশের সময় তারা যে কাগজপত্র দেখিয়েছিলেন, সেগুলো দেখে সন্দেহ হয়েছিল দেশটির অভিবাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। এতেই কপাল পোড়ে রোনালদিনহোর।
রোনালদিনহোর আইনজীবী অ্যাডলফো মারিন দাবি করেছিলেন, পাসপোর্টের কাগজপত্র যে জাল সেটি জানতেন না তাঁর মক্কেল। বার্সেলোনা ও এসি মিলানের সাবেক মিডফিল্ডারকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে। প্যারাগুয়ের আইন অনুযায়ী ছয় মাস ধরে তদন্তকাজ চালানো যায়। মারিন অবশ্য তাঁর মক্কেলের পক্ষসমর্থন করে বকেই দিয়েছিলেন, ‘রোনালদিনহো কোনো অপরাধ করেনি, সে বুঝতে পারেনি যে কাগজপত্র জাল। আদালত এসব বিবেচনায় নেয়নি। সে একজন বেকুব।’
প্রথমে ছয় মাসের জেল দেওয়া হলেও এখন বাকি সময়টা রোনালদিনহো হোটেলে কাটাচ্ছেন। এদিকে তাঁর আইনজীবীরা তাঁকে পুরোপুরি মুক্ত করার কাজে নিয়োজিত আছেন।