ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) জাল-জালিয়াতি, আগাম খরচ, চুরি ও আত্মসাত্কৃত অর্থ অন্যান্য সম্পদ হিসেবে দেখানো হয়, যদিও এগুলো প্রকৃতপক্ষে সম্পদ নয়। অনেক ক্ষেত্রে এসব বিষয় অমীমাংসিত থেকে যায়। এর সুরাহা হতে বেশ সময় প্রয়োজন।
এখন থেকে এসব খাতের বিপরীতে বিভিন্ন হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
গতকাল এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, অসমন্বিত অগ্রিম বেতন-ভাতা, ভ্রমণব্যয় ও বিজ্ঞাপন ব্যয় ১২ মাসের বেশি সময়ে অসমন্বিত থাকলে তা মন্দ ও ক্ষতি মানে শ্রেণিকরণ করতে হবে। এর বিপরীতে ১০০ ভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
একইভাবে অসমন্বিত অগ্রিম খরচের বিপরীতে ৫০ শতাংশ হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এটি মন্দ বা ক্ষতি মানে শ্রেণিকরণ হলে ১০০ ভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
তছরুপকৃত বা প্রোটেস্টেড বিলের আওতায় জাল-জালিয়াতি, ডাকাতি, অর্থ আত্মসাত, তহবিল তছরুপ প্রভৃতি তাত্ক্ষণিকভাবে হিসাবায়নের জন্য এ ধরনের খাত তৈরি করা হয়। গুণগত মানের ভিত্তিতে আদায়ের সম্ভাবনা থাকলে এর বিপরীতে ৫০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে।
আদায়ের কোনো সম্ভাবনা না থাকলে ১০০ ভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
একইভাবে অন্যান্য ব্যয়ের ক্ষেত্রেও আদায়ের কোনো সম্ভাবনা না থাকলে তাকেও মন্দ মানের শ্রেণিকরণ করতে হবে। এর বিপরীতেও ১০০ ভাগ প্রভিশন রাখতে হবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতি তিন মাস অন্তর এ তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এজন্য একটি ছকও পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ♦